1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজআফগানিস্তান

জান টাইমস: আফগান নারীদের জন্য অনলাইন ম্যাগাজিন

২৮ জানুয়ারি ২০২৪

ক্যানাডায় বসবাসরত আফগান নারী জাহরা নাদের ‘জান টাইমস' নামের একটি অনলাইন ম্যাগাজিন প্রকাশ করছেন৷ আফগানিস্তানে বাস করা নারী ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশে থাকা আফগান নারীরা এতে কাজ করছেন৷

https://p.dw.com/p/4blHU
আফগানিস্তানে বাস করা নারী ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশে থাকা আফগান নারীরা অনলাইন ম্যাগাজিনে কাজ করছেন
আফগানিস্তানে বাস করা নারী ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশে থাকা আফগান নারীরা অনলাইন ম্যাগাজিনে কাজ করছেনছবি: Ximena Borrazas/ZUMA Wire/IMAGO

২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলকরার পর মেয়েদের অনেক অধিকার খর্ব করেছে৷ এই অবস্থায় সেখানকার নারীদের পরিস্থিতি তুলে ধরতে ২০২২ সালের আগস্টে জান টাইমস চালু করেন জাহরা নাদের৷

আফগানিস্তানে থাকার সময় নিউইয়র্ক টাইমসসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতেন ৩৪ বছর বয়সি জাহরা৷ এরপর পিএইচডি করতে ক্যানাডা পাড়ি জমান৷ তিনি যখন দেশ ছাড়েন তখনও তালেবান ক্ষমতা দখল করেনি৷ ‘‘আমার মাতৃভূমির মেয়ে ও নারীদের সহায়তা করার দায়িত্ব অনুভব করেছি আমি,'' বলেন জাহরা৷

দেশ ও দেশের বাইরে থাকা আফগান নারী সাংবাদিকেরা তার ম্যাগাজিনে কাজ করেন বলে জানান তিনি৷ ‘‘আফগানিস্তানের অল্প কয়েকজন নারী সাংবাদিক স্থানীয় তথ্য সংগ্রহ করেন৷ তাদের জন্য কাজ করা খুব বিপজ্জনক৷ তালেবান যে ইস্যুগুলো শুনতে চায় না এমন বিষয়ে তারা প্রতিবেদন পাঠান: এলজিবিটি, মানবাধিকার, পারিবারিক সহিংসতা কিংবা বাল্য বিবাহ৷ প্রতিবেদন করার অনেক কিছু আছে৷ অনেক অবিচার আছে,'' বলেন জাহরা৷

ফার্সি ও ইংরেজি ভাষায় ম্যাগাজিনটি প্রকাশিত হয়ে থাকে৷

জাহরা বলেন, তালেবানের প্রোপাগাণ্ডার সঙ্গে মেলে না এমন বিষয়ে প্রতিবেদন করা খুব বিপজ্জনক৷ ‘‘আমাদের স্থানীয় সহকর্মীদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়৷ তারা ছদ্মনামে লেখেন আর আমাদের সঙ্গে কথা বলার পর ঘরের বাইরে যান৷ তারা একে অপরকে চেনেন না৷ শুধু বিদেশে থাকা সহকর্মীদের সঙ্গে তাদের পরিচয় আছে,'' বলে জানান তিনি৷

নিজের কাছে জমা থাকা অর্থ দিয়ে ম্যাগাজিনের কাজ শুরু করেছিলেন জাহরা৷ সে কারণে শুরুতে তাদের বেতন ছাড়াই কাজ করতে হয়েছে৷ তবে এখন তারা বৃত্তি ও দান পাচ্ছেন৷ জাহরা বলেন, ‘‘আমরা মানুষকে সচেতন করতে চাই৷ তাদের চিন্তা করতে শেখাতে চাই৷'' আফগানিস্তানের নারীরা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে থাকা আফগান নারীরা তার ম্যাগাজিন পড়েন বলে জানান তিনি৷

অস্ট্রেলিয়ায় যেমন আছেন আফগান নারী ফুটবলাররা

শবনম ফন হাইন/জেডএইচ