‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’
১৮ এপ্রিল ২০১৩‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ' এই নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন নাগরিক সমাজে প্রতিনিধিরা৷ এখানে সব পেশা ও শ্রেণির মানুষের সমাবেশ ঘটানো হয়েছে৷ আগামী ২০শে এপ্রিল জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে তারা সম্মেলন করবেন ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে৷ পর্যায়ক্রমে ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও সম্মেলন করা হবে৷
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এছাড়াও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করা, সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রতিহত ও আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নেয়া, মুক্তচিন্তার পথ খোলা রাখা, বাংলাদেশকে তালেবানি রাষ্ট্র বানানোর পাঁয়তারা প্রতিহত এবং নারীর অধিকার সমুন্নত রাখা তাদের অন্যতম দাবি৷
সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন৷ অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল ডয়চে ভেলেকে জানান, জামায়াত-শিবির সাংগঠনিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাই শুধু করেনি তাঁরা গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটের মত মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে৷ তাই শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নয়, সংগঠন হিসেবে জামায়াত-শিবিরের বিচার করতে হবে৷
আর সাম্প্রতিক সময়ে তারা যে সহিংসতা করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য৷ তারা মানুষ খুন করেছে, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিয়ে তাদের নির্যাতন করেছে৷ তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে নারী, সংখ্যালঘু এবং পুলিশ৷ তাই এ ধরণের একটি সংগঠনকে কোনোভাবেই বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেয়া যায়না বলে তিনি মনে করেন৷
সংগঠকদের আরেকজন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. এ আরাফাত ডয়চে ভেলেকে জানান, জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি সংগঠন৷ তারা তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে তা প্রমাণ করেছে৷ তাই একাত্তরের অপরাধ বাদ দিলেও একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জামায়াতের রাজনীতি চলতে পারেনা৷
আরাফাত আরও জানান, ঢাকার এই সম্মেলনে সারাদেশ থেকে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন৷ সম্মেলনে খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং বুদ্ধিজীবীরা থাকবেন৷ সম্মেলনের পর তাদের সামাজিক আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে৷ তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করা সরকারের দায়িত্ব৷ কিন্তু নাগরিক হিসেবেও আমাদের দায়িত্ব আছে৷ তাই মানুষের মধ্যে গণসচেতনতা গড়ে তুলতে তারা কাজ করবেন৷