জামিন পেলেন আলোকচিত্রী শহীদুল আলম
১৫ নভেম্বর ২০১৮গত ৫ আগস্ট গ্রেপ্তারের পর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারায় শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়৷ তিনি কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা ও সামাজিক গণমাধ্যমে ‘অসত্য ও উস্কানিমূলক তথ্য ছড়িয়েছেন' বলে দাবি করেছে পুলিশ৷
আটকাবস্থায় নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা আদালতে জানিয়েছেন শহীদুল৷ একাধিক নোবেল পুরস্কার জয়ীসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা শুরু থেকেই তাঁর মুক্তি দাবি করে আসছিল৷
বিচারপতি শেখ আবদুল আওয়াল ও বিচারপতি বিষ্ণুদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার শহীদুল আলমের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন৷ এখন তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা৷
শহীদুলের অন্যতম আইনজীবী সারা হোসেন বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘আমরা সন্তুষ্ট যে অবশেষে আদালত তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন৷'' তিনি খুব শীঘ্রই কারাগার থেকে বের হয়ে যেতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন এই আইনজীবী৷
তবে, রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে৷''
প্রসঙ্গত, ঢাকায় গত ২৯ জুলাই সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুলশিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা৷ এরপর কয়েকদিন রাজপথে বিভিন্ন গাড়িচালকের লাইসেন্স পরীক্ষাসহ নানা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে তারা৷ এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ এবং ‘সরকার দলের কর্মীরা' চড়াও হলে ছাত্র বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়৷
আলোকচিত্রী শহীদুল আলম সেই আন্দোলন চলাকালে সংঘাতপ্রবণ এলাকায় গিয়ে ফেসবুক লাইভে হামলার বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করেন এবং পাঁচ আগস্ট আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন৷ এরপরই একদল সাদা পোশাক পরা পুলিশ সদস্য তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়৷ পরবর্তীতে পুলিশ শহীদুল আলমকে গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করে৷
এআই/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)