জার্মান কনসুলেটে ক্রিসমাস মেলা
প্রতি বছরের মতো এবারও কলকাতার জার্মান কনসুলেটের বাগানে আয়োজন করা হয় বড়দিনের মেলার৷ সেখানে অংশ নেয় বেশ কিছু সমাজসেবী সংস্থা ও নারী কল্যাণ গোষ্ঠী৷ সঙ্গে ছিল জার্মান খাদ্য-পানীয়ের আয়োজনও, যা শুধু ক্রিসমাসের সময়ই পাওয়া যায়৷
কনসুলেটের বাগানে
কলকাতার জার্মান কনসুলেট ভবনের বাড়িটি যেমন চমৎকার, বাগানটিও তেমনই সুন্দর৷ সেই বাগানেই বসেছিল ক্রিসমাসের মেলা৷
স্বনির্ভর নারী
অনেক স্বনির্ভরতা গোষ্ঠী আছে পশ্চিমবঙ্গে, যারা মহিলা কারিগরদের হস্তশিল্প বিপণনে সাহায্য করে৷ ক্রিসমাস মেলায় ছিল এরকম কয়েকটি গোষ্ঠী, নিজেদের পশরা নিয়ে৷
হাতের কাজ
কাপড়, পাট, চামড়া, এরকম নানা উপকরণ ব্যবহার হয় হাতের কাজে. শুধু ঘর সাজানোর সরঞ্জাম নয়, টুকিটাকি অনেক কাজের জিনিসও আছে তার মধ্যে৷
পটচিত্র
তুলোট কাগজে হাতে আঁকা পটচিত্র...৷ দেব-দেবীর ছবি থেকে সামাজিক বিষয়, বা পরিবেশ সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, সব নিয়েই আঁকা হয় ছবি৷
রান্নার স্কুল
স্কুলে আজকাল রান্নাও শেখানো হয়৷ এ রকম কিছু স্কুল থেকেও ছাত্র-ছাত্রীরাও ছিলেন এই ক্রিসমাস মেলায়৷
জিভে জল
জিভে জল আনা মাংসের পুর ভরা ‘কিশ’ থেকে শুরু করে ক্রিসমাসের মিষ্টি রুটি, জার্মান ‘ব্রেৎসেল’ – সামান্য, কিন্তু আন্তরিক আয়োজন৷
ব্রাটভুর্স্ট
জার্মানদের মেলা, আর তাতে সসেজ থাকবে না, তাই কি হয়? অবশ্যই ছিল জার্মানদের অন্যতম প্রিয় খাবার ‘ব্রাটভুর্স্ট’-এর বিপুল সম্ভার৷
এবং গ্লু-ওয়াইন
জার্মানিতে ক্রিসমাস মানেই গরম, ধোঁয়া ওঠা গ্লু-ওয়াইন৷ কলকাতার ক্রিসমাস মেলাতেও বাদ যায়নি সেই জার্মান পানীয়৷ খাদ্য-তালিকাতেই থেকে গেছে তার প্রমাণ৷
ক্রিসমাস কুকি
আর ছিল বড়দিনের বিশেষ বিস্কুট, বা ক্রিসমাস কুকিজ৷ চমৎকার দেখতে ছোট ছোট বাহারি মোড়কে ভরা৷ কিছু বিদেশ থেকে আমদানি, কিছু ঘরে বানানো৷
ক্রিসমাস ক্যারল
ক্রিসমাসের উদযাপন গান ছাড়া হয় না৷ তাই তারও আয়োজন ছিল৷ পিয়ানো থেকে গিটারে সুর বাজল ক্রিসমাসের ক্যারল গানের৷
নবীন আগ্রহ
যে কোনো প্রথাগত উৎসবই আসলে একটা সংস্কৃতিকে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা৷ কনসুলেটের ক্রিসমাস মেলায় সেই নবীনদের আগ্রহ ছিল দেখার মতো৷