1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাদক ও ভালো কাজ

২৭ আগস্ট ২০১৩

ইদানীং জার্মান চাকুরিজীবীদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে ভালো করার জন্য মাদক ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷ ফলে অসুস্থতায় ভুগে কর্মস্থলে অনুপস্থিতির হারও বাড়ছে৷ এ কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা এর থেকে বের হবার পথ খুঁজছেন৷

https://p.dw.com/p/19WHs
ছবি: Fotolia/pressmaster

মরিৎস এয়ারহার্ডের মৃত্যু

এ মাসের ১৫ তারিখে মরিৎস এয়ারহার্ডের মৃত্যু হয়৷ তার আগে, একটি বিনিয়োগ ব্যাংকে কর্মরত এই শিক্ষানবীশ একটানা তিন রাত কাজ করেছিলেন৷ মাত্র ২১ বছর বয়সি এই যুবককে পরদিন লন্ডনে তাঁর বাথরুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ বেশিরভাগ গণমাধ্যমের দাবি, স্নায়ুরোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে এবং এজন্য কাজের চাপই দায়ী৷

এ ঘটনায় বেশ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন৷ সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট এবং ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট সদস্য ইয়ুটা স্টাইনরুকের বিশ্বাস, কোম্পানিগুলোর উচিত তাদের লাভের কথা মাথায় রেখে তরুণ সমাজকে নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করানো৷

Symbolbild Wissenschaft Forschung Labor Chemie Studenten
‘প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে গিয়ে অনেক জার্মান চাকরিজীবী মাদক গ্রহণ করছেন’ছবি: Fotolia/Gennadiy Poznyakov

বাড়ছে অনুপস্থিতি

জার্মান স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানি এওকে-ও গত সপ্তাহে, ২০১৩ সালে পুরো দেশে কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের অনুপস্থিতির প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে গিয়ে অনেক জার্মান চাকরিজীবী মাদক গ্রহণ করছেন৷

ডিডাব্লিউ-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এওকে-এর উপ-প্রধান হেলমুট শ্র্যোডার জানান, চাকুরি সংক্রান্ত চাপ সামাল দিতে গত এক বছরে পাঁচ ভাগ কর্মী সাইকোট্রপিকস এবং অ্যাম্ফিটামিন-জাতীয় মাদক নিয়েছেন৷

তিনি আরো জানান, কাজে একাগ্রতা এবং ভালো ঘুমের জন্য তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে এটি গ্রহণের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি৷ তরুণদের মধ্যে প্রতি ১২ জনের একজন এ ধরণের মাদক নিয়ে থাকে৷

Symbolbild - Frau im Büro
দিনদিন চাকরিতে চাপের পরিমাণ বাড়ছেছবি: Fotolia/E. Kharichkinan

এ ধরনের মাদক গ্রহণের ফলে মাথা ব্যথা এবং খাদ্য হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ এমনকি তারা পুরোপুরি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ আর এসব মাদক গ্রহণের ফলে কর্মস্থলে অনুপস্থিতির সংখ্যা ১৭ ভাগ বেড়ে গেছে বলে এওকে-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷

কাজের চাপ

পার্লামেন্ট সদস্য ইয়ুটার মতে, শুধু কর্মক্ষেত্রেই নয়, লেখাপড়ায় উন্নতির জন্যেও এ ধরনের মাদক গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে৷ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ ভাগ শিক্ষার্থীই শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো ফলের জন্য মাদক গ্রহণ করে৷ আর জার্মানির ক্ষেত্রে সেটা ৫ ভাগ৷ এটা আসলেই আশঙ্কাজনক এবং এ থেকেই বোঝা যায় তারা কতটা চাপের মধ্যে থাকে৷

জার্মান ট্রেড ইউনিয়নের এক মুখপাত্র উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বেশি কাজের চাপে মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং এর ফলে তা মানুষকে মাদকের দিকে ঠেলে দেয়৷ তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে কোনো ইস্যুতে যখন শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়, তখন এই প্রবণতাটা অনেক বেশি৷

Frau am PC
ছবি: Fotolia/Sergej Khackimullin

প্রতিরোধের আহ্বান

জার্মান ট্রেড ইউনিয়নের মতে, ভালো কর্মক্ষেত্র মাদক গ্রহণ থেকে বিরত রাখার সবচেয়ে ভালো উপায়৷ সেই সাথে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, ভালো বেতন এবং কর্মপরিবেশ উন্নয়নের পক্ষেও মত দেন ইউনিয়নের এক মুখপাত্র৷

ইয়ুটা জানান, রাজনীতিবিদদের উচিত এ ধরনের মাদকের অবাধ বেচাকেনা রোধ করা৷ বিশেষ করে অনলাইনে যাতে এই মাদকগুলো সহজে পাওয়া না যায়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি৷ এছাড়া কাজের সময় এবং বেতন-ভাতা নির্ধারণে নীতি-নির্ধারকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন ইয়ুটা৷

এপিবি/ডিজি (ক্রিস্টিয়ান ইগানৎসি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য