1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পত্রিকায় বাংলাদেশের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রসঙ্গ

৩ জুলাই ২০১১

শিল্পোন্নত দেশ জার্মানি পরমাণু বিদ্যুৎ শক্তির পথ থেকে সরে এল৷ কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার তৃতীয় বিশ্বের দেশ বাংলাদেশ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করায় বিশেষজ্ঞরা ক্ষুব্ধ, লিখেছে জার্মান দৈনিক ‘ডি ভেল্ট’৷

https://p.dw.com/p/11o55
Ein Mann zieht am Dienstag, 1.Juni 2010, in Freiburg eine Zeitung aus einem Zeitschriftenstaender. Aufmacher-Thema auf den Titelseiten der Zeitungen ist der Ruecktritt von Bundespraesident Horst Koehler von Mittwoch, 31. Mai 2010.(apn Photo/ Winfried Rothermel) --- View of the frontpages of German newspapers, on Tuesday, June 1, 2010, in a store in Freiburg, southern Germany. All papers start with German president Horst Koehler, who resigned on Wednesday, May 31, 2010.(apn Photo/ Winfried Rothermel)
ছবি: AP

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব বাংলাদেশের ওপর জোরালো৷ কিন্তু মুশকিল হচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন খুবই ব্যয়বহুল এক ব্যাপার৷ অথচ দেশটি প্রবল জ্বালানি সঙ্কটে ক্লিষ্ট৷ আর তাই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে চায় ঢাকা সরকার৷ এই বিষয়টির ওপরই আলোকপাত করেছে ‘ডি ভেল্ট' পত্রিকা৷

অন্য আরো অনেক বিকাশমুখী দেশের মত বাংলাদেশেরও নেই কোন যৌক্তিক জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা৷ তার ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অর্নৈতিক প্রবৃদ্ধি আর দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসার পথ৷ অন্যদিকে দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হয়েছে বিশেষভাবে৷ কিন্তু ব্যয় সাশ্রয়ী অথচ পরিবেশবৈরী কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির পথে যাওয়াও তার উচিত হবেনা৷ এই সূত্র টেনে জার্মান দৈনিক ‘ডি ভেল্ট' পত্রিকা লিখছে:

‘‘জার্মান উন্নয়ন সাহায্যকর্মীরা যেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথ প্রশস্ত করতে সচেষ্ট, সেখানে ঢাকা সরকার অনুসরণ করছে একান্ত নিজস্ব এক প্রকল্প৷ সরকার বিদ্যুতের ঘাটতি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র দিয়ে পূরণ করতে চায়৷'' এধরণের পরিকল্পনা সুবিবেচনাপ্রসূত নয় বলে মনে করেন দাতা দেশ জার্মানির অনেকেই৷ এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের উন্নয়ন বিষয়ক কমিশনার আন্দ্রিস পিবালগসও মনে করেন, ‘‘পরমাণু জ্বালানি বাংলাদেশের জন্য কোন বিকল্প নয়'' - জানিয়েছে ‘ডি ভেল্ট' পত্রিকা৷

পত্রিকা জানিয়েছে, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে জার্মান উন্নয়ন সাহায্যের অর্থে ছোট ছোট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প সরবরাহ করা হয়েছে৷ ‘ডি ভেল্ট' লিখছে: ‘‘জার্মান উন্নয়ন ব্যাংক কেএফডব্লিউ এ পর্যন্ত ১০ লাখ মিনি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য অর্থ সংস্থান করেছে৷ বিশ্বব্যাপী এটা এক রেকর্ড৷ পঞ্চাশ লক্ষ মানুষ তা থেকে লাভবান হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ জার্মান অর্থায়নে চালিত আরেকটি প্রকল্প হল গরুর গোবর থেকে তৈরি বায়োগ্যাস নিয়ে৷ এটাও চাষিদের স্বার্থে সুবিনিয়োগ৷ তবে এধরণের পরিবেশবান্ধব সমাধান এপর্যন্ত সমুদ্রে শিশিরবিন্দুর মত৷ সৌরবিদ্যুৎ কয়লা, পরমাণু জ্বালানি বা গ্যাস'এর চেয়ে এখনও ব্যয়বহুল৷... দীর্ঘমেয়াদি দিক থেকে প্রয়োজনীয় জ্বালানির সর্বোচ্চ ৫০ ভাগই শুধু নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে মেটানো যেতে পারে, মনে করেন ইইউ কমিশনার পিবালগস৷ স্বল্পমেয়াদি দিক থেকে বরং বর্তমানে চালু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির আধুনিকায়ন সুফল ফলাবে৷ সেটা ঘটছেও৷ তবে দেশের গুরুতর বিদ্যুৎ সংকট সমাধানের জন্য বাংলাদেশকে নতুন কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতেই হবে৷ ‘‘কয়লা হল সস্তা, তা পরিবহন করা সহজ৷ প্রযুক্তিও সহজ এবং তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব'' - বলেছেন ইইউ কমিশনার৷ ফলে অন্তত বাংলাদেশে জলবায়ু সুরক্ষার বিষয়টিকে অপেক্ষা করতে হবে৷''

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ