জার্মান ফুটবলের নতুন তারকা মানুয়েল নয়ার
২ অক্টোবর ২০১১বুন্ডেসলিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সব মিলিয়ে এখনও বায়ার্ন মিউনিখ মোটামুটি ভালো অবস্থানে রয়েছে৷ তাদের এই অবস্থানের পেছনে এখন সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন দলের গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার৷ অলিভার কান এর পর এই প্রথম জার্মানি আবারও গোলপোস্টের নীচে এক জোড়া বিশ্বস্ত হাত খুঁজে পেল৷
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত টানা ১,০১৮ মিনিট গোল না খাওয়ার রেকর্ড ধরে রেখেছেন মানুয়েল নয়ার৷ আর মাত্র চার মিনিট গোল না খেলেই তিনি ধরে ফেলবেন জার্মান কিংবদন্তী গোরক্ষক অলিভার কানকে৷ সকলেই আশা করছে খুব সহজেই এই রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলবেন মানুয়েল নয়ার৷ নয়ারের গোল পোস্ট আগলে রাখার কারণে বায়ার্ন মিউনিখ গত ৭ আগস্টের পর আর কোন ম্যাচে হারেনি৷ উল্লেখ্য, গত বছর শালকে থেকে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেন নয়ার৷ তখনও কিন্তু বোঝা যায়নি গোল পোস্টের নীচে তার এমন দক্ষতা৷ নয়ারের এই পারফরমেন্সে বায়ার্ন মিউনিখ অনেক ম্যাচে খারাপ খেলেও বেঁচে গিয়েছে৷
যেমন শনিবার তারা হফেনহাইমের কাছে হেরেও যেতে পারতো৷ বিদায়ী সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটিকে দুইবার হারানোর পর শনিবার সেই আমেজ ছিলো বায়ার্নের খেলোয়াড়দের মধ্যে৷ এছাড়া ক্লান্তির ছাপও ছিল স্পষ্ট৷ এই অবস্থাতে হফেনহাইম বেশ কয়েকবার আক্রমন চালায় বায়ার্নের ডি বক্সে৷ কিন্তু নয়ারের বিশ্বস্ত হাতের কারণে আপাতত গোলশূন্য ড্র নিয়েই ম্যাচ শেষ করতে সক্ষম হয় বায়ার্ন মিউনিখ৷ নিজের এমন দুর্দান্ত পারফরমেন্স সম্পর্কে নয়ার অবশ্য বলছেন, তিনি খুশি, কিন্তু তার কাজ গোল না খাওয়া৷
তবে বুন্ডেসলিগাতে গোলপোস্ট আগলে রাখার রেকর্ডটি কিন্তু এখনও অনেক দূরে৷ এই রেকর্ডের মালিকও অন্যজন৷ স্টুটগার্ট দলের টিমো হিল্ডেব্রান্ড ২০০৩ সালে টানা ৮৮৩ মিনিট গোলপোস্ট আগলে রেখেছিলেন৷ সেই রেকর্ডটি এখনও অক্ষুন্ন রয়েছে৷ আর নয়ারের জন্য এখনও সেটি বেশ দূরে৷ কারণ এবারের বুন্ডেসলিগায় গোলপোস্ট আগলে রেখেছেন তিনি এখন পর্যন্ত ৬৫৮ মিনিট পর্যন্ত৷ সুতরাং রেকর্ড ভাঙ্গতে হলে আরও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে নয়ারকে৷
অন্যদিকে গোল না খাওয়ার ইউরোপীয় রেকর্ডটি আরও দূরে৷ এর মালিক বেলজিয়ামের গোলকিপার ড্যান ভেরলিন্ডেন এর৷ তিনি টানা ১,৩৯০ মিনিট পর্যন্ত গোল না খেয়ে ছিলেন৷ তার এই রেকর্ডটি ভাঙ্গার প্রায় কাছে চলে গিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডের গোলকিপার ভ্যান ডার সার৷ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই গোলরক্ষক ২০০৮-০৯ মৌসুমে টানা ১,৩৯০ মিনিট পর্যন্ত গোলপোস্ট আগলে রেখেছিলেন৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম