জার্মান সরকারও এবার ‘গণহত্যার' কথা বলতে চলেছে
২৩ এপ্রিল ২০১৫গত মঙ্গলবারেই ‘দি টাগেসসাইটুং' স্পষ্ট লেখে:
‘‘ঘটনাটা ঘটবে আগামী শুক্রবার৷ দ্বিপ্রহর নাগাদ জার্মান সংসদ একশো বছর আগে আর্মেনীয়দের উপর গণহত্যার ব্যাপারে জোট সরকারের আনীত প্রস্তাবটি বিবেচনা করবে৷ নতুন হল, এ যাবৎ শুধু বামদলের প্রস্তাবেই ‘গণহত্যা' শব্দটি শীর্ষকে ব্যবহার করা হচ্ছিল; এসপিডি এবং ইউনিয়ন দলগুলি ‘বিতাড়ন ও হত্যাকাণ্ড', এই বর্ণনাই বেছে নিয়েছিল৷ গত সোমবার যাবৎ সে পরিস্থিতি বদলে গেছে৷
‘‘তীব্র বিতর্কের পর সরকারি জোটের রাজনৈতিক দলগুলির সংসদীয় গোষ্ঠীসমূহ শেষমেষ প্রস্তাবের বয়ান বদলানো সম্পর্কে একমত হতে পেরেছে৷ নতুন বয়ানে বলা হচ্ছে, ১৯১৫ সালে তৎকালীন তুর্কি সরকার দশ লক্ষের বেশি আর্মেনীয়কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করতে শুরু করে৷ ‘যে সব ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, জাতিগত বিতাড়ন ও গণহত্যা বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসকে নিদারুণভাবে চিহ্নিত করেছে, (আর্মেনীয়দের) ভাগ্য তার একটি নিদর্শন৷ এ ক্ষেত্রে আমরা জানি যে, হলোকস্টের সঙ্গে তার তুলনা চলে না, যে হলোকস্টের অপরাধ এবং দায়িত্ব পুরোপুরি জার্মানির উপর৷'''
এর আগের দিনই জার্মানির ‘আইজেনাখার প্রেসে' নামধারী দৈনিক লিখেছিল:
‘‘(শুধু) তুরস্ককে অপরাধী করা শোভা পায় না, কেননা জার্মান কাইজার-রাজের সঙ্গে অটোমান সাম্রাজ্যের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল৷ কিন্তু যা পুরোপুরি স্পষ্ট, জার্মান-তুর্কি সম্পর্কের খাতিরে সেটা আর এড়িয়ে চলাটাও ভুল হতো৷ জার্মান আর তুরস্কের উচিত এবার সত্যকে মেনে নিয়ে স্পষ্ট স্বীকারোক্তি দেওয়া৷''
সেই সোমবারেই ‘স্যুডভেস্ট প্রেসে' পত্রিকার মন্তব্য:
‘‘জার্মান রাজনীতি আর্মেনীয়দের উপর গণহত্যার অধ্যায়কে স্বীকৃতি দিতে বড় বেশি সময় নিয়েছে – যা লজ্জাকর৷ ইতস্তত করার নানা কারণ ছিল৷ কিন্তু এই দ্বিধার অর্থনৈতিক কারণ আছে বলেও ধরে নেওয়া যায়৷ জার্মানি আংকারার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত, এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান কোনো বিদেশি রাষ্ট্র তুর্কি রাজনীতি সম্পর্কে অপ্রীতিকর মন্তব্য করলে কাজে তার জবাব দিতে বেশি দেরি করেন না৷ আর্মেনীয়দের কথা উঠলেই আংকারা যেন আর কিছু শোনে না, দেখে না৷ নীতি বদলানোর মূল্য যে দিতে হতে পারে, বার্লিনকে সে ঝুঁকি নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে৷ সততার জন্য সেটুকু ক্ষতি স্বীকার করতে হলে আপত্তি নেই৷''
এসি/এসবি (ডিডাবলিউ, ডিপিএ)