1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানদের মধ্যে বন্দুকের লাইসেন্স নেয়ার প্রবণতা বেড়েছে

১৬ জানুয়ারি ২০১৯

জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেব বলছে, ২০১৮ সালে আগের বছরের তুলনায় বেশি সংখ্যক জার্মানকে বন্দুকের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে৷ তবে এই প্রবণতা নিরাপত্তা ঝুঁকি আরো বাড়াতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ৷

https://p.dw.com/p/3BdVY
Deutschland Kleiner Waffenschein
ছবি: picture-alliance/dpa/J.-P. Kasper

মন্ত্রণালয়ের হিসেব বলছে, গতবছর প্রায় ছয় লক্ষ দশ হাজার ৯৩৭ জন জার্মান নাগরিককে বন্দুক রাখার অনুমোদন দেয়া হয়েছে৷ ২০১৭ সালের তুলনায় এই হার ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি৷ সংখ্যার হিসেবে ৫৩ হাজার ৩৭৭টি বেশি অনুমোদন দেয়া হয়েছে৷

বন্দুক বলতে গ্যাস পিস্তল, ফ্লেয়ার গান, পেপার স্প্রেসহ প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র বোঝানো হয়েছে৷

পুলিশ বলছে, নিরাপত্তার আশঙ্কা থেকে আত্মরক্ষার জন্য মানুষ লাইসেন্স নিচ্ছে৷

তবে বাম দলের অভ্যন্তরীণ নীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উলা ইয়েল্পকে মনে করছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার ও  অভিবাসনবিরোধী দল এএফডির বিভিন্নমন্তব্যের কারণে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হওয়ায় মানুষের মধ্যে লাইসেন্স নেয়ার আগ্রহ বাড়ছে৷

এদিকে জার্মানির পুলিশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অলিভার মালশোভ বন্দুক রাখার এই প্রবণতা সমর্থন করছেন না৷ দৈনিক ‘নয়ে অসনাব্রুকার সাইটুং'কে তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের অস্ত্র নিরাপত্তাবোধের একটা কৃত্রিম অনুভূতি দেয় এবং নিজেকে রক্ষা করার ইচ্ছা বাড়িয়ে দেয়৷ কিন্তু এসব কারণে বর্তমান পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে এবং বন্দুকের মালিককে অপরাধীতে পরিণত করতে পারে৷''

মালশোভ মনে করেন, সশস্ত্র নাগরিকরা নিজেদের ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দিতে পারেন৷ কারণ, তাঁরা যাঁদের মুখোমুখি হবেন, তাঁরা জানবেন না যে, তাঁদের কাছে প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র আছে৷

উল্লেখ্য, জার্মানিতে অস্ত্রের আবেদনকারীকে পূর্ণবয়স্ক হতে হয় এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হয়৷ তবে জার্মানিতে প্রাণঘাতী অস্ত্র পাওয়া খুব সহজ নয়৷

‘দ্য জার্নাল অফ দ্য অ্যামেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন' বলছে, ২০১৬ সালে জার্মানিতে ৮২০ জন বন্দুক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৩৩ হাজার ৩৩৬ জন৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য