জার্মানরা যেভাবে স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবেন 

আচ্ছা, আপনি কি ছোটবেলায় মা-বাবার সাথে অনেক জায়গায় বেড়াতে গিয়েছিলেন? সেসব স্থানে কি এখন আবার যেতে ইচ্ছে করে? উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে আপনিও জার্মান নস্টালজিকদের মধ্যেই পড়েন৷ শতকরা ৬০ভাগেরও বেশি জার্মান নাকি শিশু বয়সে ঘুরতে যাওয়া জায়গাগুলো আবার দেখতে যেতে চান৷ জার্মানির ফোর্সা কোম্পানির করা এক সমীক্ষা থেকে এই তথ্যটি জানা যায়৷সমীক্ষায় অংশ গ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল এক হাজারেরও বেশি৷

অসুস্থ কে না হয়! তবে জার্মানিতে যেসব কর্মজীবী সানন্দে কর্মস্থলে যান এবং নিজের কাজটি করতে পছন্দ করেন, তাঁরা তুলনামূলকভাবে কম অসুস্থ হয়৷ তাঁরা গড়ে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকে বছরে মাত্র নয় দিন৷ আর যাঁরা অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাজে যান, তাঁরা কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকেন গড়ে বছরে ২০ দিন৷ জার্মানির স্বাস্থ্যবীমা কোম্পানি এওকে’র করা এক সমীক্ষা থেকে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷

জার্মানিতে শরীরে নানা ধরনের ব্যথার সমস্যায় ভোগেন বহু মানুষ৷ এসব সমস্যায় প্রতি দুই জনের একজনকে ফিজিওথেরাপি বা চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করতে হয় কমপক্ষে তিন সপ্তাহ৷ থেরাপিস্টের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি বলেই নাকি এই অপেক্ষা৷ দীর্ঘ অপেক্ষার এই কারণটি সম্প্রতি সমীক্ষার মাধ্যমে বের করেছে জার্মানির ফিজিওথেরাপি সংগঠন৷

জার্মানিতে ২০১৭ সালে মোট ৩১,০০০ জন পথচারী এবং ৮০,০০০ সাইকেল চালক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে৷ দুর্ঘটনা এড়াতে রাতে বা অন্ধকারে পথচারী এবং সাইকেল চালকদের লাল, হলুদ বা রিফ্লেক্ট করে, সেরকম পোশাক পরার পরামর্শ দিয়েছে জার্মানির অর্থোপেডিক্স সমিতি এবং হাসপাতালের সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ক বিভাগ৷

জার্মানিতে যেসব বয়স্ক মানুষ নার্সিং হোমে থাকেন, তাঁদের অধিকারকে আরো শক্তিশালী করছে ফেডারেল কোর্ট৷ বয়স্ক কোনো নারী বা পুরুষের যদি বর্তমান নার্সিং হোম কোনো কারণে পছন্দ না হয়, তাহলে তাঁর অন্য নার্সিং হোমে যাওয়ার অধিকার আছে৷ কোনোরকম আর্থিক বা অন্য কোনো ক্ষতি বা সমস্যা ছাড়াই অন্য নার্সিংহোমে যেতে পারবেন তিনি৷ এমনকি বর্তমান নার্সিং হোমের সাথে তাঁর পুরোনো চুক্তি শেষ না হলেও যাওয়া যাবে৷