জার্মানির সমালোচনায় যুক্তরাষ্ট্র
১ নভেম্বর ২০১৩অপরদিকে জার্মান প্রবৃদ্ধি যে অভ্যন্তরীণ চাহিদার পরিবর্তে রপ্তানির উপর বেশি নির্ভর, তা বিশ্ব অর্থনীতির নিরাময় প্রক্রিয়ার পক্ষেও একটি ঝুঁকি, বলে দৃশ্যত ওবামা প্রশাসনের অভিমত৷ ইউরো এলাকার দেশগুলি যখন তাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও আমদানি কমানোর জন্য চাপের মুখে, তখন জার্মানির অভ্যন্তরীণ চাহিদা পর্যাপ্ত পরিমাণে না বাড়ার ফলে এই সব দেশ জার্মানিতে তাদের রপ্তানি বাড়িয়ে ‘রি-ব্যালান্স' করার সুযোগ পাচ্ছে না – ট্রেজারির রিপোর্টে বলা হয়েছে৷ এই রিপোর্ট বছরে দু'বার মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা হয়৷
‘‘তার সামগ্রিক ফলশ্রুতি হয়েছে এই যে, ইউরো এলাকা এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে'', বলেছে ট্রেজারি৷ ২০১২ সালে জার্মানির বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত চীনের চেয়েও বেশি ছিল বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে৷ ইউরোপে জার্মানির মতো বাণিজ্যিক বাড়তির অর্থনীতিগুলিতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়লে তা ইউরো এলাকায় দীর্ঘমেয়াদীভাবে বাণিজ্যিক ঘাটতি কমানোয় সাহায্য করবে, বলে ট্রেজারির অভিমত৷
জার্মানি শুধু ইউরো এলাকার বৃহত্তম অর্থনীতিই নয়, ইউরো এলাকার প্রবৃদ্ধির পিছনে মুখ্য ‘মোটর'-ও বটে৷ সাম্প্রতিক ঋণ সংকটে ইটালি ও স্পেন যখন প্রভাবিত হয়েছে, তখন জার্মানির অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা প্রধানত রপ্তানির কারণেই অক্ষত থেকেছে৷ কাজেই সেজন্য এখন জার্মানিকে সমালোচনা করাটা ঠিক যুক্তিযুক্ত নয়, বলে বিশ্লেষকদের ধারণা৷
যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে জার্মান অর্থনীতির সমালোচনা বিরল বলে গণ্য হয়ে থাকে৷
এসি/ডিজি (এপি, এএফপি)