1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি কি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঝুঁকিতে আছে?

৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে ১৩ হাজার বছর আগে অগ্ন্যুৎপাতের পর সৃষ্ট খাদে পানি জমে লাখার সে বা লেক লাখ সৃষ্টি হয়৷ গবেষকরা সেই আগ্নেয়গিরির এলাকায় গবেষণা করে দেখছেন যে আবারো কখনো সেখানে অগ্ন্যুৎপাত ঘটতে পারে কি না৷

https://p.dw.com/p/4kPs0
জার্মানির আইফেল ন্যাশনাল পার্ক
বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন ধারণা, জার্মানির আইফেল অঞ্চলে আবার অগ্ন্যুৎপাতের ঝুঁকি আছেছবি: Wilfried Wirth/imageBROKER/picture alliance

জার্মানিতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আগ্নেয়গিরিটি ঘুমিয়ে আছে এখানে৷ এবং সেটা নানা কারণে৷ প্রায় ১৩ হাজার বছর আগে জার্মানির পশ্চিমে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর লেক লাখ সৃষ্টি হয়৷

একটি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের স্তম্ভ কত উঁচু হয়? কী পরিমান উপাদানের উদ্‌গীরণ হয়? ভলকানিক এক্সপ্লোসিভ ইনডেক্সের মান শূন্য থেকে আটের মধ্যে থাকে৷ লেক লাখে অগ্ন্যুৎপাতের মাত্রা ছিল ছয়৷

এটির মতো বড় অগ্ন্যুৎপাতগুলো সাধারণত সংশ্লিষ্ট এলাকাকে আর্কাইভে পরিনত করে৷ আগ্নেয়গিরির শিলাগুলোর রাসায়নিক গঠন পরীক্ষা করে অতীত সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়৷ এটার মতো কোনো আগ্নেয়গিরি জার্মানিতে নেই৷ কিন্তু আগ্নেয়গিরির ক্ষেত্র রয়েছে৷ লেক লাখের অবস্থান সেগুলোর একটির কেন্দ্রে৷ 

জিএফজেড পৎসডামের টর্স্টেন ডাম বলেন, ‘‘আইফেল অঞ্চল এখনো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়নি, যদিও ঝুঁকি আছে যে সেখানে আবার অগ্ন্যুৎপাত ঘটতে পারে৷ অবশ্যই আমাদের কাছে এখন যে কৌশল রয়েছে সেটা প্রয়োগ দরকার যাতে বিশ্বব্যাপী এবং সুনির্দিষ্ট অঞ্চলগুলোতে আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ করা যায়৷''

লেক লাখের চারপাশে শিলার ধ্বংসাবশেষের দেয়াল রয়েছে৷ আগের গবেষকদের কাছে এটা মার আগ্নেয়গিরির প্রমাণ৷ সেখানে অগ্নুৎপাতের পর ফানেল আকৃতির গর্তের সৃষ্টি হয় যা পরে পানিতে পূর্ণ হয়ে যায়৷

কিন্তু যেহেতু লেক লাখ অনেক বড়, তাই এখনকার গবেষকরা এটিকে কাল্ডেরা আখ্যা দিয়েছেন৷ এটা তৈরি হয় যখন কোনো ম্যাগমা চেম্বার খালি হয় এবং আগ্নেয়গিরির অংশবিশেষ ধসে যায়৷

জার্মানির ঝুঁকিপূর্ণ ‘ঘুমন্ত’ আগ্নেয়গিরি

আগ্নেয়গিরিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলেই অনেকদিন ধরে মনে করা হচ্ছে৷ তারপরও গবেষকরা অঞ্চলটিকে আরো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে চান৷ 

জিএফজেড পৎসডামের টর্স্টেন ডাম বলেন, ‘‘এটা এখানকার এক বিশেষ এলাকা৷ এখানে যা দেখা যাচ্ছে তাকে বলে বিতরণকৃত আগ্নেয়গিরি৷ এর অর্থ হচ্ছে আগ্নেয়গিরির বিপদ ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করতে হবে৷''

টর্স্টেন ডামের দল এই গুহাটি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আগ্নেয়গিরির কর্মকাণ্ড আরো বুঝতে চান৷

১৩ হাজার বছর আগের অগ্ন্যুৎপাতের অগ্নেয়গিরিজাত শিলা এখনো রয়ে গেছে৷ আগ্নেয়গিরির শিলা ভবন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়৷ গত কয়েক শতকে এখান থেকে এরকম শিলা তোলা হয়েছে৷

আজ ভিন্ন কারণে লাভা খনি গবেষণার জন্য চমৎকার স্থানে পরিনত হয়েছে৷ কারণটা হচ্ছে এখানে রাস্তার শব্দ বা বৃষ্টি বিরক্ত সৃষ্টি করতে পারছে না৷

ফলে মাটির নিচে কী হচ্ছে তা নিরবে শোনার জন্য আদর্শ জায়গা এটি৷ টর্স্টেন ডাম বলেন, ‘‘আমরা ভূমিকম্পের সিগন্যাল মাপতে চাই, এবং সেটা সবচেয়ে ভালো করা যায় আপনি যখন বেডরকে থাকেন যেমন এখানে৷''

আগ্নেয়গিরির কর্মকাণ্ডের আরেকটি সম্ভাব্য ইঙ্গিত হচ্ছে মোফেটস বা বায়বীয় আগ্নেয়গিরির ভেন্ট৷ এর মধ্যে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড কি ম্যাগমা বাড়ার ইঙ্গিত?

অনেক গভীরে আগ্নেয়গিরি কম্পনের ইঙ্গিত ছাড়াও মাটির নিচে গলা শিলা বা ম্যাগমার ইঙ্গিত বহন করে ভেন্ট৷ টর্স্টেন ডাম বলেন, ‘‘এটা একটা ইঙ্গিত যে আমাদের আসলেই আইফেলে গলিত শিলা রয়েছে, বিশেষ করে উপরের আবরণে৷ তবে রোমাঞ্চকর প্রশ্নটি অবশ্যই এই গলিত শিলা বের হতে চাইবে কিনা৷ এটা কি ভূত্বক ভেদ করে বাইরে আসতে পারবে?''

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নতুন তথ্য দিচ্ছে৷ যেমন আজকে আমরা জানি যে এই অঞ্চলে শুধু একটি ম্যাগমা চেম্বার রয়েছে এমন নয়, বরং এটি বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে রয়েছে৷ 

গবেষকদের এই উদ্যোগ শীঘ্রই আমাদেরকে আইফেল অঞ্চল এবং আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে আরো ধারনা দেবে৷

প্রতিবেদন: মাবেল গুন্ডলাখ/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান