জার্মানিতে আবিষ্কৃত হল সহৃদয় হৃদয়সংবাদী এমআরআই
৪ সেপ্টেম্বর ২০১০হৃদয় কীভাবে কাজ করে? কত তাড়াতাড়ি, কত ন্যানো সেকেন্ডে সেই হৃদয়ের চলার পথে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা? এসব জানতেই যে যন্ত্রটি চিকিত্সাজগতে বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার নাম এমআরআই৷ এই এমআরআই হল হৃদয়ের চলার তথ্য নির্ভুলভাবে জানানোর যন্ত্র৷ জার্মানির নামজাদা গবেষণা সংস্থা মাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট এবং এনএমআর রিসার্চ ইনকরপোরেটেড এই এমআরআই ব্যাপারটাকে আরও অনেক দ্রুতগতির করে ফেলেছে৷ এতটাই যে আগের তুলনায় দশগুণ বেশি তাড়াতাড়ি কাজ করবে জার্মান এমআরআই৷
গ্যোটিঙেনের এই দুটি সংস্থার তরফে এমআরআই বিষয়ক গবেষণাকারীদের প্রতিনিধি জেনস ফাহামের সঙ্গে কথা বলেছে ডয়চে ভেলে৷ গবেষকদের দাবি, এখন থেকে নতুন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনের ছবি তোলা সম্ভব হবে৷ যা হৃদরোগের চিকিত্সায় এক নতুন দিগন্তের মত উজ্জ্বল৷ কারণ, একসঙ্গে এত বেশি হৃৎস্পন্দনের ছবি তোলার পর পুরো ব্যাপারটা দাঁড়াবে একেবারে ভিডিও ছবির মত স্পষ্ট৷ ফলে হৃদয়ের চিকিত্সায় খুলে যাবে এক আদিগন্ত আলোকিত সম্ভাবনা৷
তবে, কিছু কিন্তু রয়ে গেছে নতুন এই আবিষ্কারে৷ হৃদয় গবেষক ফাহাম জানাচ্ছেন, অ্যারিথমিয়ার মত জটিল রোগে যেসব হৃদরোগী ভুগছেন, তাঁদের হৃদয়ের ভিডিও তুলতে পারবে না নতুন এই উল্কাগতির এমআরআই৷ ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রটি কতটা উল্টোপাল্টা আচরণ করছে, তা বুঝতে পারবেন না চিকিত্সকরা৷
কিন্তু কী করে সম্ভব হল নতুন এই আবিষ্কার? এর উত্তরও জানিয়েছেন গবেষকরা৷ তাঁরা বলছেন, এর জবাব হল বিশুদ্ধ অঙ্ক৷ অঙ্কের সাহায্য নিয়েই এমআরআই-এর গতিকে দশগুণ বাড়িয়ে দিতে পেরেছেন তাঁরা৷ আর সেই সাফল্য সাড়া ফেলেছে চিকিত্সামহলে৷
তা অবশ্যি নতুন কোন কথা নয়৷ কারণ, হৃদয় নিয়ে আবিশ্বের নারীপুরুষের যতই রোম্যান্টিকতা থাকুক, বাস্তবে সে কিন্তু একেবারে ঘড়ি ধরে আর অঙ্ক মেনে চলাচল করে৷ সেই অঙ্কই আবার তুলে ফেলছে হৃৎস্পন্দনের ন্যানো সেকেন্ডের ছবি৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন