1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে আরো তিন সপ্তাহ লকডাউনের পরিকল্পনা

৩ মার্চ ২০২১

জার্মানিতে লকডাউন আরো বাড়তে পারে। বুধবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে কিছু ছাড়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3q7zv
জার্মানি লকডাউন
ছবি: Rupert Oberhäuser/picture alliance

মঙ্গলবার জার্মানির কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, লকডাউন আরো তিন সপ্তাহ বাড়ানো হবে। মার্চের ২৮ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হবে। তবে নতুন লকডাউনে বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হতে পারে। বুধবার ফের বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পরে গোটা জার্মানি জুড়ে নতুন করে লকডাউন শুরু হয়েছে। গত বছরের শেষ পর্ব থেকেই সেখানে লকডাউন চলছে। আগামী ৭ মার্চ লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার প্রকোপ এখনো যথেষ্ট কমেনি। ফলে লকডাউন আরো তিন সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার এ বিষয়ে বৈঠক হয়। সেখানে স্থির হয়েছে, ২৮ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বুধবার।

কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় হতে পারে

ডিডাব্লিউ নতুন লকডাউনের খসড়া প্রস্তাব দেখেছে। সেখানে বলা হয়েছে, যে সমস্ত অঞ্চলে করোনার প্রকোপ খানিকটা কমেছে, সেখানে কিছু ছাড় দেওয়া হতে পারে। এখন দুই জনের বেশি দেখা করতে পারছেন। নতুন নিয়মে এক জায়গায় পাঁচজন দেখা করতে পারবেন। অর্থাৎ, দুইটি পরিবারের পাঁচজন একসঙ্গে একজায়গায় থাকতে পারবেন। যে সমস্ত অঞ্চলে করোনার প্রকোপ অনেকটা কম, সেখানে ১০জন পর্যন্ত দেখা করতে পারবেন।

সাধারণ দোকান, বইয়ের দোকান, ফুলের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। তবে সর্বত্র নয়। যেখানে করোনার প্রকোপ কম, সেখানেই।

টানা এক সপ্তাহ যেখানে করোনার পরিমাণ প্রতি ১০ লাখে ৩৫ এর নীচে থাকবে, সেই অঞ্চলেই ছাড়ের ব্যবস্থা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে টিকাকরণ আরো দ্রুত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাস অ্যান্টিজেন টেস্টের পরিকল্পনাও করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে সপ্তাহে একবার ছাত্র এবং শিক্ষকদের পরীক্ষা হতে পারে জানানো হয়েছে।

রেস্তোরাঁ, বার, সিনেমা হল দীর্ঘদিন ধরেই জার্মানিতে বন্ধ। আপাতত তা খোলার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। হোটেলগুলিও বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র ব্যবসার কারণে যারা জার্মানি আসছেন, তারা হোটেলে থাকতে পারছেন। জার্মান প্রশাসন নাগরিকদের অনুরোধ করেছে, ইস্টারের সময় কেউ যেন দেশের ভিতর বা বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা না করেন। বাইরে থেকে আসার ব্যাপারেও বহু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)