জার্মানিতে খাদ্যে ভেজাল কেলেঙ্কারি
২২ জুলাই ২০০৯বর্তমান কালে খাঁটির বদলে ভেজালের সঙ্গে আমাদের নিত্য পরিচয় হয়ে থাকে৷ দুধে জল, চালে কাঁকড়, একশ ভাগ খাঁটি সরিষার তেলেও মিশ্রন পাওয়া যায়৷ আনাজপাতি ভেজাল তথা রাসায়নিক উপকরণের সাহায্যে উৎপাদিত হয়ে থাকে৷ ভেজাল খেয়ে শরীর-স্বাস্থ্যের ক্রমশ অবনতি ঘটে৷ ভেজাল রোধে সরকারি মহল তৎপর হলেও কৃষক-ব্যবসায়ী-রাজনীতিকদের চাপ দেখা যায়৷ এর ফলে সাধারণ মানুষ অসহায় বোধ করেন৷
ভেজালের বড় বড় ঘটনা, যা ফল্গুধারার অতলে প্রবাহিত, সবসময় দৃষ্টিগোচর নয়৷ কখনো গোচর হলে মহা হৈ চৈ বেধে যায় – যেমনটা সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে৷ জার্মানির মত স্বচ্ছ, ভেজালহীন, শিল্পোন্নত দেশেও খাদ্যে ভেজাল ধরা পড়ছে৷ চিজ-পনির বা সালামি-মাংসে ভেজাল থেকে যে কেলেঙ্কারির সূত্রপাত, জার্মান খাদ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা বলছেন, তার শিকড় আরও গভীরে৷
জার্মানিসহ ইউরোপে বিশাল মাত্রায় খাদ্যশস্য উৎপাদনে ব্যাপক হারে রাসায়নিক সারের প্রয়োগ ঘটে থাকে৷ খাদ্যশস্য ফলনের বৃদ্ধির স্বার্থেই এই সার ব্যবহার করা হয়৷ জনগণের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে এছাড়া কোনো উপায়ও নেই৷ বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ রাসায়নিক সারের সাহায্যে উৎপাদিত খাদ্য কিনতে বাধ্য হয়৷ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে উতপাদিত ‘অর্গ্যানিক’ খাদ্য কেনার সামর্থ্য তাদের নেই৷
শরীর ও স্বাস্থ্য সচেতন জার্মানরা নির্ভেজাল খাদ্য কিনতে গিয়ে বা রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে বুঝতে পারছেন না, কোন খাদ্য ভেজাল বা নির্ভেজাল৷ ভেজাল রোধে সরকারের নানা তৎপরতা সত্ত্বেও ভেজাল খাদ্য রেস্তোরাঁয়, দোকানে এখনো চালু রয়েছে৷
প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন