1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিকাদান কর্মসূচি থেকে লাভবান হচ্ছেন চিকিৎসকেরা

মার্কো ম্যুলার
২৬ জানুয়ারি ২০২২

জার্মানিতে করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত নার্সরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও সামান্য বেতন পান৷ কিন্তু যে চিকিৎসকদের নিজস্ব চেম্বার আছে তারা সরকারের টিকাদান কর্মসূচি থেকে অনেক লাভবান হচ্ছেন বলে মনে করেন মার্কো ম্যুলার৷

https://p.dw.com/p/4661u
Impfen von Kindern Corona-Impfung
ভ্যাকসিন এক লোভনীয় বাণিজ্যছবি: MiS/imago images

সব নাগরিককে দ্রুত টিকা দিতে গতবছরের শুরুতে দেশজুড়ে অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র খুলেছিল জার্মানি৷ পাশাপাশি চিকিৎসকদের চেম্বারেও টিকা দেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু ছয়মাস পর টিকা নিতে আগ্রহী ব্যক্তির সংখ্যা কমে যাওয়ায় অস্থায়ী ঐ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়৷ 

এর কয়েক সপ্তাহ পর বিশেষজ্ঞরা বুস্টার ডোজ দেয়ার পরামর্শ দেন৷ কিন্তু ততদিনে টিকাদান কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসকদের চেম্বারে টিকা দেয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে৷

প্রতি ডোজ টিকা দেয়ার বিনিময়ে চেম্বারের চিকিৎসকরা শুরুতে ২০ ইউরো (১,৯৩৪ টাকা) করে পেতেন৷ গতবছর সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের আগে এই টাকা বাড়িয়ে মধ্য নভেম্বর থেকে ২৮ ইউরো (২,৭০৮ টাকা) করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান৷

এরপর নতুন সরকার গঠনের পর নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাখ বড়দিন ও নতুন বছরের ছুটির মৌসুমে (২৪ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি) বুস্টার ডোজ দেয়ার গতি ধরে রাখতে প্রতি ডোজ টিকা দেয়ার জন্য চিকিৎসকদের প্রাপ্তি আরও বাড়িয়ে ৩৬ ইউরো (৩,৪৮২ টাকা) করেন৷

ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রতি ডোজ টিকা দেয়ার জন্য চেম্বারের চিকিৎসকরা আট ইউরো (৭৭৪ টাকা) পেয়ে থাকেন৷ এই টাকা বিমা কোম্পানিগুলো চিকিৎসকদের দিয়ে থাকে৷ কিন্তু করোনার টিকা দেয়ার জন্য চিকিৎসকরা ‘ফেডারেল অফিস ফর সোশ্যাল সিকিউরিটি' অর্থাৎ রাজ্য কর্তৃপক্ষ তথা করদাতাদের কাছ থেকে টাকা পাচ্ছেন৷

জার্মানির স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানিগুলোর সংগঠন মনে করে করোনার এক ডোজ টিকার জন্য চিকিৎসকদের ১০ ইউরো (৯৬৭ টাকা) দেয়া যথেষ্ট৷ 

Marco Müller | Kommentarbild
মার্কো ম্যুলার, ডয়চে ভেলেছবি: Marco Müller/DW

জার্মানিতে চেম্বার থাকা একজন চিকিৎসক চেম্বার পরিচালনা ব্যয় বাদ দেয়ার পর বছরে গড়ে দুই থেকে আড়াই লাখ ইউরো (প্রায় দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা) আয় করেন, যা একজন সাধারণ নাগরিকের গড় আয়ের চেয়ে অনেক বেশি৷ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আরও বেশি প্রায় চার কোটি টাকা আয় করেন৷

করোনার কারণে বেশিরভাগ মানুষ তাদের আয়ের একটা বড় অংশ হারিয়েছেন৷ এরপরও তারা যা আয় করেছেন, তা থেকে কিছু অংশ চিকিৎসকদের দিতে হয়েছে (কারণ করদাতাদের টাকা চিকিৎসকদের দেয়া হয়েছে)৷ এটা যুক্তিসঙ্গত হয়নি৷ সমাজে অসমতা ও বিভাজন বাড়ার এটা আরেকটা উদাহরণ৷ চিকিৎসকরা অন্য যে-কোনো টিকার জন্য যে টাকা পান সেটাই যদি করোনার টিকার জন্য তাদের দেয়া হত তাহলে কি টিকাদান কর্মসূচি ব্যর্থ হত? সম্ভবত না৷ আর যদি হত, তাহলে সেটা আমাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিত৷