জার্মানিতে ধাত্রী সংকট প্রকট
গত কয়েক বছরে শিশু জন্মের হার যে হারে বেড়েছে তাতে জার্মানদের আনন্দিতই হবারই কথা৷ কিন্তু নবজাতকদের জন্য যথেষ্ট ধাত্রী না থাকায়, দেখা দিচ্ছে নানা সমস্যা৷
কোলনে ধাত্রী সংকট
আগে কখনো জার্মানির কোলন শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় এত বেশি হারে শিশু জন্মগ্রহণ করেনি৷ গত বছর বেশি হারে শিশুর জন্ম হওয়ায় ধাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে৷ কোলনের ক্লিনিকগুলোতে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য যে শুধুমাত্র কোলনে বসবাসকারী গর্ভবতীরাই যান, তা নয়৷ কোলনের আশেপাশের অঞ্চল থেকেও অনেক নারী তাঁদের সন্তানের জন্ম দিতে আসেন কোলনের হাসপাতালে৷
এক বছরে ১৪, ৫০০ শিশুর জন্ম
২০১৭ সালের শিশু জন্মের চূডান্ত হিসেব এখনো জানা যায়নি, তবে সংখ্যাটা যে আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা একরকম নিশ্চিত৷ কোলনের শিশু রেজিস্ট্রি অফিসের প্রধান আঙ্গেলিকা বার্গ বলেছেন, ‘‘আমাদের হিসেবে ২০১৭ সালে শিশু জন্মের সংখ্যা ১৪, ৫০০ ছাড়িয়ে যাবে৷’’
অতিরিক্ত কাজের চাপ
শিশু জন্মের হার হঠাৎ করে খুব বেড়ে যাওয়ায় ধাত্রী, এমনকি ডাক্তারদেরও কাজের চাপ খুব বেড়ে যায়৷ ফলে, অনেকেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বা কাজের সময়সীমা কমিয়ে দিয়েছেন৷ এসব কারণে দেখা দিয়েছে সংকট৷
বেশি ঝুঁকির মুখে বড় হাসপাতাল
বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছে বড় বড় হাসপাতালগুলো৷ কারণ, সেখানে নির্ধারিত সময়ের আগেই যাঁদের সন্তান হয়, কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ ডেলিভারি হয়, তাঁরা আসেন৷ প্রচণ্ড কাজের চাপে কোলনের বড় একটি হাসপালালে ৩৭ জন ডাক্তারের মধ্যে ১৩জনই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন৷
গর্ভবতীদের অবস্থা
প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, অনেক গর্ভবতী তাঁর সন্তান জন্মের জন্য যে হাসপাতালে রেজিস্ট্রি করে রেখেছেন পরে আর সেখানে তাঁকে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ ফলে গর্ভবতীকে সন্তান জন্মের জন্য ড্যুসেলডর্ফ, ক্রেফেল্ড বা অন্য শহরের কোনো হাসপাতালে যেতে হচ্ছে৷ ২০১৭ সালে এরকম ৩০জন নতুন মা এ অবস্থায় পড়েছিলেন শুধুমাত্র ধাত্রী সংকটের কারণে৷ আর ১৪০ জন মা-কে একই শহরের অন্য হাসপাতালে যেতে হয়েছিল৷
সমাধান কীভাবে সম্ভব?
ধাত্রী সংগঠনের প্রধান পেট্রা ক্রেমার ইয়োরগেন্স বলেন, ধাত্রী ‘পেশা’-কে আরো বেশি মূল্যায়ন করতে হবে৷ বেতন বাড়াতে হবে এবং তাঁদের কাজের চাপ কমাতে হবে ৷
ভবিষ্যৎ ভাবনা
ধাত্রী ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র ধাত্রীদের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে৷