জার্মানিতে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট গ্রেপ্তার
২৭ জানুয়ারি ২০১৬২৭ জানুয়ারি তারিখটি ঐতিহাসিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ৷ আন্তর্জাতিক হলোকস্ট দিবস হিসেবে সারা বিশ্বেই দিনটি পালিত হয়৷ এ বছরও যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হচ্ছে দিনটি৷ আউশভিৎস বন্দি শিবির থেকে বন্দিদের মুক্ত করার মুহূর্তগুলোও এই দিনে স্মরণ করে জার্মানি৷
এবার হলোকস্ট দিবসের বিশেষ বক্তা হিসেবে জার্মানির সংসদে কথা বলেছেন রুট ক্ল্যুগার৷ তিনি এসেছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে৷ ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৫ – এই দুই বছর আউশভিৎস বন্দি শিবিরেই ছিলেন রুট ক্ল্যুগার৷ সংসদে আউশভিৎসের ভয়াবহ সেই দিনগুলোকে নিজের ‘জীবনের সবচেয়ে শীতল শীতকাল' হিসেবে উল্লেখ করেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের নৃশংসতম বর্বরতার এই প্রত্যক্ষদর্শী ৷
এবারের শীতে আরেকটি ঘটনাও প্রত্যক্ষ করছে জার্মানি৷ সাম্প্রতিক সময়ে নব্য নাৎসিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ৷ মঙ্গলবার এ অভিযানের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের খবরও পাওয়া গেল৷ জার্মান আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বিলেফেল্ড শহর থেকে অন্তত দু'জন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ গ্রেপ্তারকৃতদের একজন নারী৷
জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া দু'জন ‘আল্টারমিডিয়া' নামের একটি ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মের ‘অ্যাডমিন'৷ ‘আল্টারমিডিয়া' প্রথমে ফ্রান্স থেকে ব্লগসাইট হিসেবে কাজ শুরু করে৷ ধীরে ধীরে কাজের পরিসর বাড়িয়ে একসময় এটি ডানপন্থি রাজনীতির ‘প্রপাগান্ডা মেশিন' হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে৷
গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবারই ‘আল্টারমিডিয়া'-র অ্যাডমিন এবং অন্যান্য কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ ২০১১ সালে সাবেক ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটর' আলেক্স ম্যোলারকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে ৩০ মাস কারাবাস এবং ৩ হাজার ইউরো জরিমানার শাস্তি ঘোষণা করেছিল৷
এর কয়েকমাস পর গ্রেপ্তার হন রবার্ট রুপ্রেশট নামের আরেকজন৷ ২৭ মাস কারাভোগ করতে হয়েছে তাঁকে৷ দু'জনের বিরুদ্ধেই মূল অভিযোগ ছিল, তাঁরা জার্মানির ‘হেইট স্পিচ আইন' লঙ্ঘন করেছেন৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)
জার্মানিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে৷ তবে মত প্রকাশের নামে ঘৃণা ছড়ানো আইনত দণ্ডনীয়৷ আপনি কি ঘৃণা ছড়ানোর বিরুদ্ধে সরকারের এই অবস্তানকে সমর্থন করেন? নীচে আপনার মতামাত জানান৷