বাংলাদেশ টেলিভিশন ডটকম
১৯ জুলাই ২০১২জার্মানিতে অবস্থিত বাংলাদেশ টেলিভিশন ডটকম কাজ করছে ২০০৮ সাল থেকে৷ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তার উদ্যোক্তা ও কর্ণধার মাহবুব উদ্দীন বলেন, ‘‘আমাদের ছোট স্টুডিও রয়েছে৷ খবর সংগ্রহ, ভিডিও ছবিধারণ, সম্পাদনা এবং সম্প্রচারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে৷ আমাদের তৈরি করা অনুষ্ঠান, সাক্ষাৎকার এসবকিছু ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত থাকে৷ এছাড়া কিছু কিছু অনুষ্ঠান আমরা লাইভ সম্প্রচার করে থাকি৷ আমাদের ওয়েবসাইটে লাইভ অনুষ্ঠান দেখার জন্য একটি বোতাম রয়েছে৷ হয়তো কোথাও প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুষ্ঠান হচ্ছে সেটি লাইভ সম্প্রচার করতে পারি আমরা এবং দর্শক নির্দিষ্ট বোতাম চাপ দিলে তা লাইভ দেখতে পারেন৷''
তবে ইন্টারনেটে তথ্য কিংবা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের পাশাপাশি জার্মানিতে পড়তে আগ্রহী বাংলাদেশিদের জন্য নানা ধরণের সহায়তা কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের৷ সে সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘জার্মানিতে যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী কিংবা পড়তে আসে তাদেরকে আমরা ভর্তি প্রক্রিয়া, স্বাস্থ্য বিমা, আবাসন, ভাষা শেখা, ভিসা সংক্রান্ত কাজ এবং প্রয়োজনে লেখাপড়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে আসছি৷ এমনকি এতদিন পর্যন্ত আমরা এসমস্ত পরিষেবা বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি৷ এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০/৭০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে আমাদের পরিষেবা দিয়েছি৷ তাদের অনেকে লেখাপড়া শেষ করে দেশে ফিরে গিয়ে চাকরি করছে৷''
জার্মানির রেনিঙ্গেন শহর থেকে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলাদেশ টেলিভিশন ডটকম দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে মাহবুব উদ্দীন বলেন, ‘‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন যেটি সেটির ওয়েবসাইটের ঠিকানা বিটিভি ডটকম৷ আর আমাদের ডোমেন নাম বাংলাদেশ টেলিভিশন ডটকম৷ এমন নাম দেওয়ার কারণ হলো বাংলাদেশে যে বিটিভি রয়েছে সেখানে আমরা কোনোভাবেই আমাদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশের সুযোগ পাই না৷ তাই বিদেশে যেসব বাংলাদেশি রয়েছে স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি করতেই এটি প্রতিষ্ঠা করি আমরা৷ এছাড়া জার্মানির বিভিন্ন ব্যবস্থা এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আমরা বলতে পারি৷ কিন্তু বিটিভি'তো আমাদের কখনও সাক্ষাৎকার নেয়না৷ তাই এসব বিষয়ে আমাদের মত প্রকাশের চিন্তা থেকেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করি আমরা৷''
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সাথে নামের মিল থাকায় এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনেকে প্রতারণার অভিযোগ তুলতে পারেন - এমন আশঙ্কার কথা স্বীকার করে মাহবুব উদ্দীন বলেন, ‘‘আসলে এনটিভি বাংলাদেশেও আছে, জার্মানিতেও আছে আবার অ্যামেরিকাতেও আছে৷ তাতে তো কোনো অসুবিধা নেই৷ কারণ মানুষ দেখবে যে, এটি কোথা থেকে পরিচালিত৷ বাংলাদেশ থেকে নাকি জার্মানি থেকে? ফলে খুব বেশি জটিলতার কিছু নেই৷''
সাক্ষাৎকার: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ