জার্মানিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
২৭ মার্চ ২০১১বঙ্গবন্ধু ভাষণে শোনালেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিতা, বাংলা ভাষায়৷ এবং তাঁরই রচনাঃ
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷
এই অমর কবিতা শুনে কেউই ঘরে থাকতে পারে না৷ প্রত্যেকের রক্তে হিন্দোল৷ ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে৷ স্বাধীনতা সংগ্রামে৷ উনিশ বছরের আমিই বা কী করে ঘরে বসে থাকি৷ টগবগে দামাল, অকুতোভয় যুবক কখনো গৃহবন্দী থাকে না৷
২৬ মার্চ সকালে, বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর উৎসব-উদযাপনে নানা অনুষ্ঠানমালা দেখে স্মৃতি জাগরিত হলো৷
বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মওসুদ মান্নান ঠিকই বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার চেতনা এই প্রজন্মের শোনিতে, মানসে জাগিয়ে রাখতে হবে, এবং জাগরণের দায় আমাদেরই৷
হল ভর্তি শ্রোতার মধ্যে অধিকাংশই এই প্রজন্মের৷ জন্ম বার্লিনে৷ বাবা-মা বাংলাদেশের৷ বাবা-মায়ের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীরত্ব-কাহিনী শুনছে তারা৷ সন্তানাদিকে চেতনায় উদ্বুদ্ধ করছেন মা-বাবা'রা৷
উৎসব-অনুষ্ঠান ছিল বৈচিত্রে ভরপুর৷ ছোটদের আঁকা নানা ছবির মেলা৷ এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বক্তব্যে আবেগ যতই থাকুক, খাঁটি দেশপ্রেমই উচ্চারিত৷
নাজমুন নেসা বিরচিত ১৫ মিনিটের নাটকে ১৫ জন পাত্রপাত্রী৷ বয়সে প্রত্যেকে নবীন নবীনা৷ নাটকে দেশকে ভালোবাসার গাঢ় অঙ্গীকার৷ নাটকের অন্তিমে কলাকুশলী চমৎকার মমতায়, বিপুল প্রত্যয়ে কোরাস শোনানঃ
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলো যারা
আমরা তোমাদের ভুলবো না৷
প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, বার্লিন
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই