মহাজোট গঠনের আনুষ্ঠানিক প্রচেষ্টা
৩০ নভেম্বর ২০১৭জার্মানিতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে স্থিতিশীল সরকার গঠন করার এটাই শেষ সুযোগ৷ এই উদ্যোগ বিফল হলে সংখ্যালঘু সরকার বা নতুন নির্বাচনের পথে এগোতে হবে, যার পরিণাম অনিশ্চয়তায় ভরা৷ ইউনিয়ন শিবিরের দুই নেতা – সিডিইউ দলের আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও সিএসইউ দলের নেতা হর্স্ট সেহোফারকেই আবার মহাজোট সরকার গড়ার উদ্যোগ নিতে হবে৷ উল্লেখ্য, জার্মান কৃষিমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ‘বিদ্রোহ' দুই শিবিরের মধ্যে তিক্ততা বাড়িয়ে দিয়েছে৷ এই প্রেক্ষাপটে এসপিডি দলের নেতা মার্টিন শুলৎসকে জোট গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করতে তাঁদের রাজি করাতে হবে৷ তিনি রাজি হলে দুই শিবিরের মধ্যে জোট গঠনের লক্ষ্যে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হবে৷ সেই প্রচেষ্টা সফল হলে শুরু হবে সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক আলোচনা৷ এসপিডি দলের কিছু নেতার মতে, এই প্রক্রিয়া শেষ হতে আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত গড়িয়ে যেতে পারে৷
বৃহস্পতিবারের আলোচনার সামগ্রিক ফলাফল জানতে কিছুদিন সময় লাগতে পারে৷ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতাদের আলোচনা এতকাল গোপনীয়তার বেড়াজালে মোড়া ছিল৷ বৃহস্পতিবার তার ব্যতিক্রম ঘটবে, এমনটা আশা করা কঠিন৷ আগামী ১লা ডিসেম্বর সকালে এসপিডি নেতা শুলৎস দলের শীর্ষ স্তরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন৷ আগামী ৭ থেকে ৯ই নভেম্বর এসপিডি দলীয় সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে আরও বড় আকারে আলোচনা হবে৷ এই সম্মেলনে মহাজোটের পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন পেলে শুলৎস আবার ম্যার্কেল ও সেহোফারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন৷ উল্লেখ্য, আবার মহাজোট সরকার গঠনের প্রশ্নে আপত্তি তুলে নিলেও শুলৎস এখনো সব পথ খোলা রাখছেন৷
ইউনিয়ন শিবিরের সিএসইউ দলে নেতৃত্বের চলমান সংকটও মহাজোট গঠনের উদ্যোগের উপর কালো ছায়া ফেলছে৷ বিরোধ মিটিয়ে বাভেরিয়ার এই দলের শীর্ষ পদ ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শেষ পর্যন্ত কে বা কারা আসীন হবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷
১৯শে ডিসেম্বর ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এক দিন৷ নির্বাচনের ৮৬ দিন পরেও সরকার গঠন করা সম্ভব না হওয়ায় এ দিন ২০১৩ সালের রেকর্ড ভেঙে যাবে৷ সে বছর নির্বাচনের ৮৬ দিন পর নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিয়েছিল৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)
জার্মানিতে কি আবারো মহাজোট সরকার ফিরে আসবে? আপনার কি মনে হয়? লিখুন আমাদের নীচের ঘরে৷