জার্মানিতে মুসলিমরা পাচ্ছেন ডিজিটাল ধর্মীয় সেবা
২৫ মার্চ ২০২০‘‘আমরা ডিজিটাল সেবা দিতে গিয়ে খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি,'' বার্তা সংস্থা ইপিডিকে জানান কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী আয়মান মাজিয়েক৷ কাউন্সিল যেই ডিজিটাল সেবাটি দিচ্ছে তাতে ইমামদের বক্তব্য ও ধর্মোপদেশ ছাড়াও রয়েছে প্রশ্ন ও উত্তরের অংশ৷ শুধু তাই নয়, এই সেবা তরুণদের সাহায্য নিয়ে বয়স্করা একসঙ্গে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ধর্মীয় তথ্যসেবা গ্রহণ করছেন৷
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মসজিদগুলো এখন পুরোপুরি বন্ধ৷ মাজিয়েক জানিয়েছেন, কাউন্সিলের অধীনে জার্মানিতে ৩৫টি সংগঠনের প্রায় ৩০০টির মতো মসজিদ আছে৷ অন্যান্য উপাসনালয়ের মতো মসজিদেও নামাজ আদায় বা প্রার্থনা করা সম্ভব হচ্ছে না৷ তবে খ্রিস্টানরা যেমন খালি চার্চ থেকে শুধু পুরোহিতের মন্ত্র লাইভ প্রচার করেন এবং ঘর থেকে তা অন্যরা অনুসরণ করেন, তেমনটি মুসলিমদের ক্ষেত্রে ধর্মীয় কারণে এখনও করা যাচ্ছে না৷
‘‘এই বিকল্প আসলে সম্ভব নয়,'' বললেন মাজিয়েক৷ তিনি জানান, সংগঠনের ভেতর ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসলামিক স্কলাররা এ নিয়ে আলোচনা না করে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন না৷ শুক্রবারের জুম্মার নামাজ শুধু মসজিদেই করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি৷ তবে সাধারণ মানুষ এই ডিজিটাল আলোচনা ও ধর্মোপদেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে বলে জানান মাজিয়েক৷
মাজিয়েক মনে করেন, করোনা ভাইরাস সৃষ্টিকর্তার কোনো সাজা নয়, তবে একটা পরীক্ষা৷ ‘‘সাজা নয়, এটি সৃষ্টিকর্তার একটি পরীক্ষা যে, এত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও কেমন করে সহানুভূতি, দানশীলতা, ধৈর্য্য ও ক্ষমার মানসিকতা ধরে রাখতে হয়৷''
তিনি বলেন, মহামারীর সময় কোনো এলাকার সুরক্ষা বা পৃথকীকরণ করার বিষয়ে নবীর নির্দেশনা আছে৷ সেগুলো বাস্তবসম্মত৷ ইসলামের বিশ্বাসও অন্ধভাবে ধংস হয়ে যাওয়া সমর্থন করে না৷
জেডএ/ এসিবি (ইপিডি)