1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে মুসলিমরা পাচ্ছেন ডিজিটাল ধর্মীয় সেবা

২৫ মার্চ ২০২০

জার্মানির মুসলিমদের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসকেন্দ্রিক এই দুর্যোগের সময়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মাঝে ডিজিটাল যোগাযোগ বেড়েছে, বিশেষ করে মসজিদে যারা নিয়মিত আসতেন তাদের মাঝে৷

https://p.dw.com/p/3a0V0
Deutschland Symbolbild zum Thema Militärimamen in der Bundeswehr
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Warmuth

‘‘আমরা ডিজিটাল সেবা দিতে গিয়ে খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি,'' বার্তা সংস্থা ইপিডিকে জানান কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী আয়মান মাজিয়েক৷ কাউন্সিল যেই ডিজিটাল সেবাটি দিচ্ছে তাতে ইমামদের বক্তব্য ও ধর্মোপদেশ ছাড়াও রয়েছে প্রশ্ন ও উত্তরের অংশ৷ শুধু তাই নয়, এই সেবা তরুণদের সাহায্য নিয়ে বয়স্করা একসঙ্গে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ধর্মীয় তথ্যসেবা গ্রহণ করছেন৷ 

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মসজিদগুলো এখন পুরোপুরি বন্ধ৷ মাজিয়েক জানিয়েছেন, কাউন্সিলের অধীনে জার্মানিতে ৩৫টি সংগঠনের প্রায় ৩০০টির মতো মসজিদ আছে৷ অন্যান্য উপাসনালয়ের মতো মসজিদেও নামাজ আদায় বা প্রার্থনা করা সম্ভব হচ্ছে না৷ তবে খ্রিস্টানরা যেমন খালি চার্চ থেকে শুধু পুরোহিতের মন্ত্র লাইভ প্রচার করেন এবং  ঘর থেকে তা অন্যরা অনুসরণ করেন, তেমনটি মুসলিমদের ক্ষেত্রে ধর্মীয় কারণে এখনও করা যাচ্ছে না৷ 

‘‘এই বিকল্প আসলে সম্ভব নয়,'' বললেন মাজিয়েক৷ তিনি জানান, সংগঠনের ভেতর ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসলামিক স্কলাররা এ নিয়ে আলোচনা না করে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন না৷ শুক্রবারের জুম্মার নামাজ শুধু মসজিদেই করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি৷ তবে সাধারণ মানুষ এই ডিজিটাল আলোচনা ও ধর্মোপদেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে বলে জানান মাজিয়েক৷

মাজিয়েক মনে করেন, করোনা ভাইরাস সৃষ্টিকর্তার কোনো সাজা নয়, তবে একটা পরীক্ষা৷ ‘‘সাজা নয়, এটি সৃষ্টিকর্তার একটি পরীক্ষা যে, এত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও কেমন করে সহানুভূতি, দানশীলতা, ধৈর্য্য ও ক্ষমার মানসিকতা ধরে রাখতে হয়৷''

তিনি বলেন, মহামারীর সময় কোনো এলাকার সুরক্ষা বা পৃথকীকরণ করার বিষয়ে নবীর নির্দেশনা আছে৷ সেগুলো বাস্তবসম্মত৷ ইসলামের বিশ্বাসও অন্ধভাবে ধংস হয়ে যাওয়া সমর্থন করে না৷

জেডএ/ এসিবি (ইপিডি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য