জার্মানিতে শরণার্থীদের সুযোগ-সুবিধা কমানোর দাবি
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭জার্মানির একটি পত্রিকাকে শনিবার দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান যে, তিনি ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শরণার্থী ইস্যুতে একই মান দেখতে চান৷ তিনি মনে করেন, জার্মানির বর্তমান ব্যবস্থা মানবপাচারকারীদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাইনিশে পোস্ট পত্রিকাকে বলেন, ‘‘অনেক শরণার্থী ইউরোপের অন্যান্য দেশের চেয়ে জার্মানিতে বসবাস করতে চান, কেননা দেশটির (শরণার্থী গ্রহণ) পদ্ধতি এবং অভ্যর্থনা ব্যবস্থা উদার এবং সুযোগ-সুবিধাও (অন্যান্য দেশের তুলনায়) অনেক বেশি৷''
তাহলে কি জার্মানিতে শরণার্থীদের সুযোগ-সুবিধার মান কমানো হবে? এই প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংকোচের সঙ্গে জানান যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে এ বিষয়ে সামঞ্জস্য আনতে হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘আশ্রয়গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং আশ্রয়প্রার্থীদের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে আগের চেয়ে বেশি সমন্বয় প্রয়োজন৷ কিছুক্ষেত্রে এখানে শরণার্থী গ্রহণের হার অন্যান্য জায়গার তুলনায় বেশি এবং সামাজিক সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য৷''
ডেমেজিয়ের অবশ্য স্বীকার করেন যে, ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় জার্মানিতে জীবনযাপনের খরচ বেশি৷ সেক্ষেত্রে তাঁর পরামর্শ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবার জন্য একটি নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণের পর জার্মানির বাড়তি খরচের কথা বিবেচনা করে শরণার্থীদের কিছু ভর্তুকি দেয়া যেতে পারে৷
উল্লেখ্য, জার্মান আইন অনুযায়ী, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের বাসস্থান, খাদ্য, প্রসাধনী, পোশাক এবং জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত জিনিস যেমন, দেশে ফোন করার ফোন কার্ড ইত্যাদি প্রদান করা হয়৷ আইনে নগদ অর্থের বদলে যতটা সম্ভব জিনিসপত্র এবং সেবা দেয়ার কথা বলা হয়েছে৷ তবে রাজ্যভেদে মাসিক ভাতা দেয়ারও প্রচলন রয়েছে জার্মানিতে৷ সেক্ষেত্রে শরণার্থী শিবিরে থাকা প্রত্যেক অবিবাহিত অভিবাসনপ্রত্যাশীকে মাসে ১৩৫ ইউরো এবং বিবাহিত দম্পতির প্রত্যেককে ১২৯ ইউরো করে প্রদান করা হয়৷ এছাড়া শিশুরাও বয়সভেদে ৭৬ থেকে ৮৩ ইউরো অবধি পায়৷ আর শরণার্থী শিবিরের বাইরে থাকা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক পান মাসে ২১৬ ইউরো করে৷ প্রত্যেক বিবাহিত দম্পতির ক্ষেত্রে এই অনুদান মাসে জনপ্রতি ১২২ ইউরো৷
প্রতিবেদন: রেবেকা স্ট্যাওডেনমেয়ার/এআই