‘জার্মানিতে শান্তিতে থাকতে চাই’, বললেন ম্যার্কেল
২১ নভেম্বর ২০১০স্পিগেলের খবর আর ম্যার্কেলের প্রতিক্রিয়া
শনিবারের স্পিগেল সাময়িকীতে জার্মানির সংসদভবন বা রাইখস্ট্যাগে আগামী বসন্তে উগ্রবাদী হামলার ষড়যন্ত্রের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিল্ড আম জোনটাগ পত্রিকার কাছে মুখ খুললেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ বললেন, যে কোন ধরণের সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করতে যতদূর সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ চ্যান্সেলরের অভিমত, জার্মানিতে শান্তিতে এবং আতঙ্করহিত জীবনযাপন করতে চায় মানুষ৷ কোনরকমের হামলার হুমকি দিয়ে সেই শান্তি ব্যাহত করা যাবেনা৷ প্রসঙ্গত, গত বুধবার জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রথমে সন্ত্রাসী হামলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে দেশজুড়ে নিরাপত্তা অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছিল৷ বিশেষ করে বিমানবন্দর এবং রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়৷ তারপর থেকে জার্মানির অভ্যন্তরে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলার আশঙ্কা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা চলছে৷
‘জার্মানিতে মুসলিমরা আতঙ্কিত, হয়রানির শিকার'
শনিবার জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ-র কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ‘সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব মুসলিমস' নামের একটি সংগঠন৷ সংগঠনের প্রধান আয়মান মাজেক বলেছেন, বহু বছর ধরে আমরা এ ধরণের সম্ভাব্য হামলার কথা শুনে আসছি৷ এ ধরণের খবর প্রচারিত হলেই এদেশে বসবাসরত মুসলিমরা সাধারণ মানুষের সন্দেহের শিকার হন৷ দুইভাবে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন জার্মানিতে বসবাসরত মুসলিমরা৷ প্রথমত, কোন ধরণের সন্ত্রাসী হামলা যদি সত্যিই হয়, তাহলে তাঁরা আক্রান্ত হতে পারেন৷ দ্বিতীয়ত, এ ধরণের খবর প্রচার মানেই মুসলিমদের দিকে সন্দেহের চোখে তাকায় সকলে৷ নামিবিয়া থেকে জার্মানির মিউনিখে আসার পথে একটি বিমানে নকল বোমার ডিটোনেটর পাওয়ার ঘটনাটিকে ঘিরে যেভাবে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে, তারও তীব্র সমালোচনা করেছেন মাজেক৷ প্রসঙ্গত, ওই নকল ডিটোনেটরকে ঘিরেই জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়ার দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেন এবং বলেন, তাঁর কাছে সঠিক খবর আছে যে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে জার্মানিতে হামলা চালাবে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীরা৷
নামিবিয়া নাটকের নাটের গুরু নিরাপত্তা প্রধান
গ্রেপ্তার করা হয়েছে নামিবিয়ার উইন টুহক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রধানকে৷ সে ব্যক্তি নিজেই একটি সুটকেসের মধ্যে নকল ডিটোনেটর ভরে সেটাকে বিমানে করে জার্মানির মিউনিখে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন৷ তার থেকেই এত শোরগোল জার্মানি জুড়ে৷ তবে ওই নিরাপত্তা প্রধান কেন এই কান্ড ঘটালেন, সে বিষয়ে নামিবিয়ার পুলিশ বেশ ধন্দে রয়েছে৷ নকল ডিটোনেটর রেখে দেওয়ার নেপথ্যে এই ব্যক্তির অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম