জার্মানিতে হিজাব পরা প্রার্থী নিয়ে বিতর্ক
৩০ মার্চ ২০১৮উত্তর জার্মানির নয়ম্যুনস্টারের স্থানীয় নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন কিলিচ৷ ২৫ মার্চ নিজের ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্টার প্রকাশ করেন তিনি৷ পরে দ্রুতই ফেসবুক আর টুইটারে সেটি সম্পর্কে সমালোচনামূলক মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে৷ অনেকে প্রশ্ন করেন, এফডিপি কীভাবে এমন পোশাক পরা একজনকে প্রার্থী করলো?
অনলাইনে এমন বিতর্কের পর এফডিপির নয়ম্যুনস্টার শাখা একটি বিবৃতি দিয়েছে৷ কিলিচকে নিয়ে যে ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে সেগুলোকে ‘ঘৃণাপূর্ণ’ ও ‘ডানপন্থি’ বলে আখ্যায়িত করেছে দলটি৷ এছাড়া বিবৃতিতে এফডিপি বলেছে, ‘‘প্রগতিশীল ও উদার মানুষ হচ্ছেন তাঁরা, যাঁরা অন্য সংস্কৃতি, ধর্ম ও দেশের মানুষ কী পরবে সে ব্যাপারে নাক গলায় না৷’’
জাতীয় পর্যায়ের সাংসদরাও এই বিতর্কে অংশ নিয়েছেন৷ অভিবাসন ও ইসলামবিরোধী দল এএফডির বেয়াট্রিক্স ফন স্টর্স বিষয়টি নিয়ে টুইটারে একটি শ্লেষপূর্ণ পোস্ট দিয়েছেন৷ তিনি কিলিচের কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘‘খ্রিস্টান ও ইহুদিদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা’’ ইসলামি আইন তিনি (কিলিচ) প্রত্যাখ্যান করেন কিনা৷
এদিকে, জার্মানির সংসদে এফডিপির সংসদ সদস্য কন্সটানটিন কুলে কিলিচের ঘটনায় নিজেকে গর্বিত মনে করছেন৷ ‘‘এমন এক দলের অংশ হয়ে আমি গর্বিত, যারা কিলিচের মতো নারীকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার সুযোগ দিয়েছে,’’ টুইটে লেখেন তিনি৷
তবে এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এফডিপির ভাইস চেয়ারম্যান ভল্ফগাঙ কুবিচকি৷ জার্মান দৈনিক ‘ডি ভেল্ট’কে তিনি বলেন, ‘‘হেডস্কার্ফ পরা বা না পরা একজন মুসলিম প্রার্থীর যারা সমালোচনা করছে, তাদের নরকে যাওয়া উচিত৷’’
ডি ভেল্ট-এর এফডিপিপন্থি সম্পাদক উল্ফ পোশার্ড্ট কিলিচের সমর্থকদের ভয় না পাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷ কারণ, উদারপন্থিরা জানেন ‘‘হেডস্কার্ফের নীচে যা ঘটে, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ,’’ বলেন তিনি৷
উল্লেখ্য, নয়ম্যুনস্টার শহরে ৬ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷
আলেকজান্ডার পেয়ারসন/জেডএইচ