‘জার্মানিতেও বর্ণবিদ্বেষ আছে’
৫ জুন ২০২০প্রসঙ্গ যখন যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যা, তখন তো পুরো বিষয়টি কেমন লাগছে- এমন একটা প্রশ্ন ওঠেই৷ জার্মান জাতীয় দলের ডিফেন্ডার জানালেন, ‘‘খুব খারাপ লাগছে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা কিছু বিষয় ভীষণ নির্মম ছিল৷ তবে যা-ই হোক, জর্জ ফ্লয়েডের ঘটনাটা আমাদের বুঝিয়ে দিলো কালোদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ যুক্তরাষ্ট্রে কতটা বিস্তৃতি পেয়েছে৷’’
২০০৭ সালে হ্যার্থা বার্লিনের হয়ে বুন্ডেস লিগায় ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করা ঘানাইয়ান বংশোদ্ভুত ফুটবলার আরো জানিয়েছেন ঘটনাটা যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছে বলে বেশি খারাপ লাগছে তার, ‘‘আমার বেশি খারাপ লাগছে, কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে আমি প্রায়ই যাই এবং ওই দেশ, ওই দেশের সংস্কৃতিকে অনেক পছন্দ করি৷’’
এমনিতে বর্ণবাদ দেখে তিনি অবাক নন, কারণ, ‘‘বর্ণবাদ নতুন নয়, সব জায়গাতেই তা আছে, যুক্তরাষ্ট্রে তা হয়ত একটু বেশি মাত্রায় আছে৷’’
জানতে চাওয়া হয়েছিল জার্মানিতে বর্ণবাদ আছে কিনা৷ জার্মান মা এবং ঘানাইয়ান বাবার ঘরে বার্লিনে জন্ম নেয়া বোয়াটেং বললেন, ‘‘জার্মানিতেও বর্ণবাদ আছে৷ সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বিদেশি এবং বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর ওপর হামলা হতে দেখেছি৷ বার্লিনে ছোটবেলায়ও আমি বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছি৷ তবে ফুটবল মাঠের বিপরীত অভিজ্ঞতার কথাও বলতে হবে, সেখানে কে কোন জায়গা থেকে এসেছে, কে কোন ধর্মের - এসব কোনো বিষয় না৷ আমাদের কেউ ইরানি, কেউ আফ্রিকান, কেউ তুর্কি, কেউ জার্মান৷ কিন্তু তা নিয়ে আমরা কখনো ভাবিনি, বা কথা বলিনি৷’’
৩২ বছর বয়সি বোয়াটেং মনে করেন, মানুষের মনন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে শৈশবের শিক্ষাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, ‘‘শৈশবের লেখাপড়ার সময় থেকেই বিষয়টা শুরু হয়৷ ওই সময়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ কোনো শিশুই বর্ণবাদী হয়ে জন্মায় না৷ বাবা-মায়েরা সন্তানদের কী বলেন তার ওপরই ব্যাপারটা নির্ভর করে৷’’
জোনাথন হার্ডিং/ এসিবি