1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির কড়াকড়ি উঠছে ৪ঠা মে

১৫ এপ্রিল ২০২০

বুধবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও মুখ্যমন্ত্রীদের আলোচনার পর বর্তমান কড়াকড়ির মেয়াদ আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তবে কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিয়ম শিথিল করা হবে৷

https://p.dw.com/p/3axa2
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে পুরোপুরি লকডাউনের পথে না গিয়ে দুইয়ের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছিল জার্মানি৷ মানুষের মধ্যে কমপক্ষে দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটার ব্যবস্থা ছাড়া দোকানবাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি অনেক স্থাপনা বন্ধ রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু ইস্টারের পর বিধিনিয়ম অন্তত কিছুটা শিথিল করার জন্য সরকারের উপর চাপ বাড়ছিল৷

এই অবস্থায় জার্মানির ১৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ বুধবার সন্ধ্যায় ম্যার্কেল এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন৷

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার ফলে করোনা সংকট নিয়ন্ত্রণে আনতে সাফল্য এলেও সেই সাফল্য অত্যন্ত ভঙ্গুর বলে মনে করেন ম্যার্কেল৷ তাই বর্তমান বিধিনিয়ম আপাতত ৩রা মে পর্যন্ত চালু রাখার সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেন তিনি৷ ম্যার্কেল বলেন, দুই সপ্তাহ অন্তর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ মানুষের প্রাণ বাঁচানোর বিষয়টিকেই সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে৷ তাই সংক্রমণ প্রতিরোধ যতটা সম্ভব নিশ্চিত করে তবেই কোনো ক্ষেত্রে বিধিনিয়ম শিথিল করা হবে৷

রাজ্য বা স্থানীয় পর্যায়ে পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুযায়ী ভিন্ন নিয়ম চালু থাকলেও গোটা দেশজুড়ে একই ব্যবস্থা চালু রাখার পক্ষে সওয়াল করেন তাঁরা৷ বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে জার্মানির সীমান্তও আপাতত বন্ধ থাকবে৷

অন্যদিকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করতে কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করছে ফেডারেল ও রাজ্য সরকারগুলি৷ যেমন কিছু ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷ এর আওতায় স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত কড়া নিয়ম মেনে আরও কিছু দোকানবাজার খোলা হবে৷ ৪ঠা মে থেকে ধাপে ধাপে স্কুল খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ তবে প্রথমে শুধু উঁচু ক্লাসের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল খোলা হবে৷

এসবি/কেএম