সহযোগিতার প্রস্তাব
২২ জুন ২০১২সেটাই দেখতে বাংলাদেশ থেকে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল সম্প্রতি জার্মানি ঘুরে গেছেন৷
ক্রীড়া সচিব মাহবুব আহমেদ এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন৷ বাকি দুসদস্য হলেন বিকেএসপির ডিজি এমাদুল হক ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক আব্দুর রহমান৷ জার্মানির তিন শহর বার্লিন, ড্যুসেলডর্ফ আর কোলন'এ গিয়েছিলেন তাঁরা৷
সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বাংলাদেশের ক্রীড়া সচিব মাহবুব আহমেদ বললেন, ‘‘যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে সহযোগিতামূলক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা এবং ক্রীড়া অবকাঠামোগুলো ঘুরে দেখা - মূলত এই দুটোই ছিল সফরের মূল উদ্দেশ্য৷''
এই লক্ষ্যে জার্মানির তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা৷ এঁরা হলেন ক্রীড়া সচিব, ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান স্টেফান মায়ার আর বার্লিনের হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিষয়ক বিভাগের একজন পরিচালক৷
ক্রীড়া সচিব আহমেদ বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্য যুব প্রতিনিধি বিনিময়, বিকেএসপিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে সহযোগিতা এবং লাইপশিস বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানো - এসব নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে৷''
আহমেদ বলেন, আলোচনা খুবই ফলপ্রসু হয়েছে৷ বিকেএসপিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে পরামর্শ দিতে বাংলাদেশে একটা বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে জার্মানি রাজি হয়েছে বলে জানালেন তিনি৷
তবে শুধু জার্মানির কাছ থেকে সহযোগিতা চাওয়াই নয়, জার্মানিকেও সহযোগিতা দেয়ার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ৷ এবং সেটা জার্মানির ক্রিকেট উন্নয়নে৷ আহমেদ বলেন, ‘‘জার্মান কর্মকর্তারা আমাদের জানিয়েছেন বার্লিনে বেশ কিছু ক্রিকেট ক্লাব হয়েছে৷ এবং তারা ক্রিকেটের প্রসার বাড়াতে চান৷ আমাদের পক্ষ থেকে তাদেরকে (জার্মানিকে) এক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে৷''
আহমেদ বলেন, বর্ষাকালেও যেন খেলোয়াড়রা ক্রিকেট, ভলিবল সহ অন্যান্য খেলার প্র্যাকটিস করতে পারেন সেজন্য বিকেএসপিতে একটা অবকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ জার্মানিতে এ ধরণের একটা অবকাঠামো পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা৷ আহমেদ বলেন, ‘‘জার্মানিতে আমরা বেশ কয়েকটি মাল্টিপারপাস হ্যাঙ্গার দেখলাম যেটা আমাদের বিকেএসপিতে ঐ অবকাঠামো গড়ার ক্ষেত্রে কাজে দেবে৷''
জার্মানির ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান স্টেফান মায়ারের একটি মন্তব্য বাংলাদেশের ক্রীড়া সচিব মাহবুব আহমেদের খুব ভাল লেগেছে বলে নিজেই জানালেন তিনি৷ সেটা হচ্ছে, ‘‘সকলের জন্য খেলা এবং সব ধরণের খেলা''৷ আহমেদ বলেন, স্টেফান মায়ার তাঁকে জানিয়েছেন যে, জার্মানি ঐ নীতিতে বিশ্বাস করে৷ সেজন্য শুধুমাত্র পদক অর্জন করা যাবে এমন খেলা নয়, বরং সবধরণের খেলার ব্যবস্থা করে থাকে জার্মান সরকার৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়