1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির চিড়িয়াখানার অভিনব পরিবেশ

২০ ডিসেম্বর ২০১৬

জার্মানির এক চিড়িয়াখানা এমন এক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, যেখানে দূর দেশের বিরল প্রাণীরা বংশবৃদ্ধি করতে দ্বিধা করছে না৷ ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই ট্রপিকাল হল অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে চলে৷

https://p.dw.com/p/2Ua0D
Polen neugeborene Löwen im Zoo in Borysew bei Lodz
ছবি: picture-alliance/AP Photo/C. Sokolowski

এক ঝাঁক স্কুইরেল মাংকিস বা কাঠবিড়ালি বানর, সবাই পুরুষ৷ লাইপসিশ শহরের চিড়িয়াখানায় তারা নিজেদের পরিচিত রেন ফরেস্টের পরিবেশে দিব্যি লম্ফঝম্প করতে পারে৷

শুধু মাথার উপর একটা ছাদ রয়েছে৷ বিশেষভাবে তৈরি সেই ঝুলন্ত ছাদের মাপ দু'টি ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়ো৷ ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ক্ষেত্রে এই কাজকে অসাধারণ বলতেই হয়৷ গাছপালা ও প্রাণীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতি-বেগুনি রশ্মি স্বচ্ছ এই ছাদের তিনটি স্তর ভেদ করতে পারে৷ অন্যদিকে উত্তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে নিখুঁত থার্মাল ইনসুলেশনের ব্যবস্থাও করে৷

রেন ফরেস্টের আর্দ্র ও গরম পরিবেশ পেয়ে এশীয় টেপির-রাও উৎফুল্ল৷ খাবার বিতরণের সময় তাদের মধ্যে প্রেমের ডাকও চলছে৷ ইউরোপের বিভিন্ন চিড়িয়াখানা থেকে পুরুষ ও নারী টেপির এখানে আনা হয়েছে৷ উন্মুক্ত পরিবেশে তারা বিলুপ্ত হতে চলেছে৷ লাইপসিশ চিড়িয়াখানার প্রধান ড. ইয়র্গ ইউনহল্ট বলেন, ‘‘চিড়িয়াখানা আজ আর শুধু চিড়িয়াখানা নয়৷ এখানকার প্রাণীগুলিকে আমরা বাইরের জগতে তাদের লুপ্তপ্রায় বা বিপন্ন প্রজাতির দূত হিসেবে দেখি৷''

চিড়িয়াখানার ‘ট্রপিকাল হল' অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে সাজানো হয়েছে৷ বৃষ্টির পানি জমিয়ে তা ব্যবহার করা হয়৷ সৌরশক্তি জমিয়ে রাখা হয়৷ এর পরেও তাপমাত্রা বেশি বেড়ে গেলে ছাদের কিছু অংশ খুলে তাজা বাতাস ঢোকানোর ব্যবস্থা আছে৷ জটিল এই প্রযুক্তির দায়িত্বে রয়েছেন রাসেম বাবান৷ প্রায় দু'টি বাড়ির সমান জায়গা জুড়ে তাঁর কর্মকাণ্ড চলে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আবহাওয়ার নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করতে হয়৷ কখনো বৃষ্টি নামাতে, কখনো আর্দ্রতা বাড়াতে হয়, যথেষ্ট সূর্যালোকেরও ব্যবস্থা করতে হয়৷

এমন পরিবেশে বংশবৃদ্ধি তরান্বিত হয়৷ মাসছয়েক পরেই ভোঁদড়-দম্পতির সন্তান এসেছে৷ সুন্দর পারিবারিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে৷ শুধু খাবারের ভাগাভাগি নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়৷ ড. ইয়র্গ ইউনহল্ট বলেন, ‘‘আমি খুব খুশি৷ প্রত্যেকটি ব্রিডিং সফল হলে, সন্তান এলে স্বাগত জানাই৷ এখানে আমরা শুধু কিছু বিচ্ছিন্ন প্রাণী রাখি না, সুস্থ সামাজিক পরিবেশ তৈরি করি৷ বংশবৃদ্ধিও তার মধ্যে পড়ে৷''

আবার নতুন করে আনন্দের কারণ ঘটেছে৷ সাদামুখো পাইথেসিড বানরের ঘরেও সন্তান এসেছে৷ জঙ্গলের এমন আদর্শ পরিবেশ তৈরি করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে৷ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ফ্লোরিডা থেকে প্রায় ৫০০ ধরনের গাছপালা আনা হয়েছে৷ তবে সরাসরি জঙ্গল থেকে নয়, বিভিন্ন গ্রিনহাউস ও পথের ধার থেকে সে সব সংগ্রহ করা হয়েছে৷

এই চিড়িয়াখানায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় সরিসৃপ কমোডো ড্র্যাগনও রয়েছে৷ গোটা জার্মানিতে একমাত্র লাইপসিশ শহরের চিড়িয়াখানায় এই বিরল প্রাণী রাখার অনুমতি রয়েছে৷ ড. ইউনহল্ট বলেন, ‘‘এমন পথিকৃতের ভূমিকা পালন করতে পেরে আমরা খুশি৷ শীঘ্রই গোটা ইউরোপে আরও কমোডো ড্র্যাগন দেখা যাবে৷''ইউরোপের সবচেয়ে বড় ট্রপিকাল হলে মানুষ ও প্রাণীর আনন্দের শেষ নেই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান