ফুটবল মাঠে হিংসা
২০ নভেম্বর ২০১২ফুটবল মাঠে হিংসা সম্পর্কে সম্প্রতি জার্মান পুলিশ এক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে৷ তাতে এক ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠছে৷ ২০১১-২০১২ সালে ফুটবল সংক্রান্ত যে সব হিংসাত্মক ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, তা এক রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়েছে৷ হুলিগানদের দৌরাত্ম্য তো বেড়ে চলেছেই, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে নব্য নাৎসিদের সুপরিকল্পিত হামলার ঘটনাও৷ আহতের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও৷ রিপোর্টে নানা ধরণের হিংসার ঘটনা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে৷ পুলিশ বাহিনীর কর্মী সংগঠন হিংসাত্মক ফুটবল ফ্যানদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স' নীতি গ্রহণ করতে চায়৷ অর্থাৎ তাদের দৌরাত্ম্য কোনোমতেই বরদাস্ত করা যাবে না৷ ফুটবল ক্লাবগুলিকেই এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে তারা মনে করে৷
জার্মান ফুটবল লিগ ও জার্মান ফুটবল সংগঠন সাম্প্রতিক এই পরিসংখ্যান দেখে কিছুটা দমে গেছে৷ তাদের ভয় হচ্ছে, বেড়ে চলা হিংসার ঘটনায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের কর্তৃত্ব খর্ব করা হবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বাড়বে৷ আগামী ১২ই ডিসেম্বর জার্মান ফুটবল লিগ ফুটবল মাঠে নিরাপত্তা বাড়াতে এক বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরতে চলেছে৷ ফুটবল ক্লাব ও তাদের ফ্যানদের নিয়ে বাস্তবসম্মত সমাধানসূত্র পেশ করতে চাইছে এই সংগঠন৷
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হান্স পেটার ফ্রিডরিশ ফুটবল মাঠে বিস্ফোরকের বেড়ে চলা ব্যবহার সম্পর্কে বিশেষ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷ প্রতিপক্ষ দলের ফ্যান ও পুলিশের উপর আতশবাজি সহ নানা রকম বিস্ফোরক নিক্ষেপ করা হচ্ছে৷
তবে পুলিশের রিপোর্টে যথেষ্ট তথ্য-পরিসংখ্যান স্থান পেলেও বেড়ে চলা হিংসাত্মক ঘটনার পেছনে নব্য নাৎসিদের ভূমিকা সম্পর্কে স্পষ্ট চিত্র উঠে আসে নি৷ হিংসাত্মক নব্য নাৎসিরা যেভাবে ফুটবল ফ্যানদের মধ্যে মিশে গিয়ে বর্ণবাদী হামলা চালাচ্ছে, তাও দুশ্চিন্তার বড় কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ বেশ কিছু ক্লাব ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে এমন প্রবণতা লক্ষ্য করে জার্মান ফুটবল লিগ প্রয়োজনীয় সতর্কতার ডাক দিয়েছে৷
এসবি/ডিজি (এসআইডি, ডিপিএ)