জার্মানির বাজারে বাংলাদেশের মাছ
মাছে-ভাতে বাঙালি বলে কথা৷ হ্যাঁ, বাঙালির সেই রসনা মেটাতেই রুই, কাতলা, ইলিশসহ বাংলাদেশের প্রায় সব মাছই আজকাল পাওয়া যায় জার্মানিতে৷ সে গল্পই থাকছে এই ছবিঘরে৷
বাংলাদেশি মাছের বাজার
বাঙালি যে দেশেই বসবাস করুক না কেন, তাদের মাছ চাই৷ আর দেশীয় মাছ হলে তো কথাই নেই৷ জার্মানির বেশ কিছু শহরে তাই বাংলাদেশি পণ্যের দোকান রয়েছে, যেখানে মাছ ছাড়াও পাওয়া যায় অন্যান্য অনেকরকম খাবার৷
বন শহরে বাংলাদেশি মাছের বাজার
এ দোকানে ইলিশ, রুই, কাতলা, চিংড়ি, পাবদা, কাজলি, পুটি, কেচকি, রূপচাঁদা ছাড়াও নানারকমের ছোট ও বড় মাছ পাওয়া যায়৷
বিশাল আকারের হিমায়িত রুই
কোলন শহরে রয়েছে বাংলাদেশি খাবারের দোকান৷ বড় বড় আস্ত রুই মাছগুলো এভাবেই বাংলাদেশ থেকে আসে৷ ক্রেতারা যে যেভাবে যতটুকু চান, তাঁকে সেভাবে দোকান থেকেই ইলেকট্রনিক ছুড়ি দিয়ে মাছ কেটে দেওয়া হয়৷
স্বাদ করে সাধের ইলিশ খাওয়া
সারা বছরই অনেক বাঙালি নানাভাবে ইলিশ খান৷ তবে ১লা বৈশাখে ইলিশ চাই-ই চাই৷ যে কারণে অনেকে আগে থেকেই যথেষ্ট পরিমাণে ইলিশ কিনে ফ্রিজে রেখে দেন তাঁরা, পাছে ফুরিয়ে যায়৷ ইলিশ ছাড়া কি বাঙালির ১লা বৈশাখ জমে!
সবচেয়ে বড় বাংলাদেশি মাছের দোকান ফ্রাংকফু্র্টে
জার্মানির বাণিজ্য নগরী ফ্রাংকফুর্ট৷ সেখানে সরাসরি বাংলাদেশ বা লন্ডন থেকে মাছা আনা হয়৷ আর কোলন, বন বা অন্যান্য শহরের ব্যবসায়ীরা মাসে এক বা দু’বার মাছসহ অন্যান্য বাংলাদেশি পণ্য আনতে ফ্রাংকফুর্টে যান৷ মাঝে মাঝে অবশ্য তাঁরা লন্ডন থেকেও এ সব পণ্য নিয়ে আসেন৷ জানালেন বনের বাংলা শপের মালিক রিপন সাহেব৷
বাঙালির আবেগ
জার্মানিতে এমন বাঙালিও আছেন, যাঁরা নিজের দেশের ফ্রোজেন মাছ ছাড়া তৃপ্তি করে ভাতই খেতে পারেন না৷ জার্মানির স্বাস্থ্যকর তাজা মাছে তাঁদের পেট ভরলেও মন যে ভরে না!
ছোট মাছ
ছোট মাছের চচ্চরি! আহারে কি দারুণ স্বাদ! তা হোক না ফ্রোজেন, তাতে কি?
শুটকি মাছ
শুধু ফ্রোজেন মাছ নয়, জার্মানির বাজারে ভোজন রসিক বাঙালির প্রিয় শুটকি মাছও রয়েছে৷
মাছের মূল্য
রুই মাছ প্রতি কেজি পাঁচ ইউরো বা বাংলাদেশি টাকায় পাঁচ’শ টাকা৷ আর এক কেজি ইলিশ মাছের দাম এক হাজার তিন’শো টাকা৷ অনেকেরই প্রিয় দেশি চিংড়ি মাছ৷ যার মূল্যও ইলিশের মতোই৷ বাংলাদেশি ৮০০ টাকা প্রতি কেজি পাবদা মাছের দাম৷