বিশ্বকাপে জার্মানির শনির দশা
৩০ মে ২০১৪
জার্মান কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ তাঁর দলকে নিয়ে দক্ষিণ টিরোল-এর সেন্ট লিওনহার্ডে গেছেন দশদিনের চূড়ান্ত ট্রেনিং ক্যাম্পে৷ ক্যাম্প শুরু হওয়ার স্বল্প আগে ছিল জার্মান কাপ ফাইনাল: বায়ার্ন মিউনিখ বনাম বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড৷ বার্লিনের সেই খেলায় জেতে বায়ার্ন, কিন্তু খেলার পর ডর্টমুন্ড তথা জার্মান জাতীয় একাদশের ডিফেন্ডার কেভিন গ্রোসক্রয়েৎস বার্লিনের একটি হোটেলের রিসেপশনে প্রস্রাব করে দেন৷ ওদিকে আবার ঐ কাপ ফাইনালেই বায়ার্ন তথা জার্মান জাতীয় একাদশের ক্যাপ্টেন ফিলিপ লাম পায়ে চোট পান এবং বায়ার্ন তথা জার্মান জাতীয় একাদশের গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার কাঁধে চোট পান৷
গ্রোসক্রয়েৎস-এর কাহিনিটা আগে শেষ করা যাক: রাত যখন বাড়তে থাকে, তখন নাকি তিনি হেটেলের অন্য কয়েকজন অতিথির সঙ্গে বচসার পর হোটেলের ফয়ারে ইয়ে করে দেন! তাঁর নাকি একটা ব্ল্যাকআউট হয়েছিল, বলেছেন গ্রোসক্রয়েৎস – আগে যেটাকে বলা হতো বুদ্ধিভ্রম৷ এবং সেই ব্ল্যাকআউটের জন্যে তাঁর ক্লাব নাকি তাঁকে ৬০ হাজার ইউরো ফাইন করেছে৷
ল্যোভের ব্যাপারটা আরো সহজ: গাড়ি চালানোর সময় নিয়মকানুন না মানার দরুণ তাঁর অ্যাকাউন্টে ১৮টা পেনাল্টি পয়েন্ট যুক্ত হয়েছিল, ফলে তাঁর আগামী ছয় মাস গাড়ি চালানো বারণ করা হয়৷ বাকি থাকল গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট, যাতে একজন ৬৩ বছর বয়সি জার্মান গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন৷
ব্যাপারটা আর কিছু নয়: মার্সিডিজ বেঞ্জ কোম্পানির স্পন্সর করা একটি স্পোর্টিং ইভেন্ট৷ পেশাদার টুরিং কার ড্রাইভার পাসকাল ভেরলাইন চক্কর দিচ্ছিলেন জাতীয় দলের সেন্টার-ব্যাক বেনেডিক্ট হোয়ভেডেজ-কে প্যাসেঞ্জার করে৷ চক্কর দিচ্ছিলেন জার্মান জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ শিবিরের কাছেই৷ কি করে জানি না অ্যাক্সিডেন্ট ঘটে৷
জার্মান জাতীয় দলের আরেক সদস্য, মিডফিল্ডার ইউলিয়ান ড্রাক্সলার-ও সেই অ্যাকসিডেন্ট ঘটতে দেখেন৷ হোয়ভেডেজ এবং ড্রাক্সলার-কে নাকি পরে জাতীয় দলের ক্রীড়া মনস্তত্ত্ববিদ হান্স-ডিটার হেরমান-এর কাছে পরামর্শ নিতে হয়৷ এত সব গোলমালের মধ্যে আসন্ন বিশ্বকাপের কথাটা সকলের মনে আছে তো? না থাকলে মনে করিয়ে দিই: গ্রুপ ‘জি’-তে জার্মানির প্রথম খেলা ১৬ জুন তারিখে, সালভাডর-এ, পর্তুগালের বিরুদ্ধে৷
এসি/ডিজি (এএফপি, এপি)