সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার কারিভুর্স্ট
১৬ মে ২০১৮কারিভুর্স্ট – লম্বা, পুরু সসেজ, গ্রিল বা ভাজা করা৷ তার ওপর টমেটো কেচাপ এবং ‘কারি' পাউডার ছড়ানো৷ জার্মানির ক্যান্টিনগুলোয় ঐতিহ্যবাহী এই কারিভুর্স্ট আজও খাদ্যরসিকদের রসনাকে তৃপ্ত করে চলছে৷ বলছে জার্মানির নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের একটি ক্যাটারিং কোম্পানি ‘আপেটিটো'৷
কোম্পানিটি প্রতি বছরই নানারকম সমীক্ষা করে থাকে৷ ২০১৭ সালে তারা জার্মানির বিভিন্ন ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়ার জনপ্রিয় খাবার নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছিল৷ এই অনুসন্ধানই বলছে, কারিভুর্স্ট এর সঙ্গে আলু ভাজা বা মুচমুচে চিপসের রাজযোটক বন্ধন অগণিত জিহ্বার স্বাদ মিটিয়ে টানা ২৫ বছর ধরে শীর্ষে অবস্থান করে এবার ২৬তম বছরে পৌঁছিয়েছে৷
রসনার বিচারে দ্বিতীয় স্থানে দখল করেছে আলু ভাজার সঙ্গে ঐতিহ্যশালী শ্নিটসেল৷ আর গতবছর থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইটালির ‘স্প্যাগেটি বোলোনেসে'৷ বলা বাহুল্য, জার্মান ক্যান্টিনগুলোতে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ডিশের মিশ্রণ দেখা যায়৷
ঐতিহ্যশালী স্বাদ
কিন্তু জার্মানির বিভিন্ন ক্যান্টিনের মালিকদের মধ্যে অনেকেই অবশ্য এই তালিকার সঙ্গে একমত নন, বিশেষ করে সাবেকি খাওয়ার বা ছোটদের কথা ধরা হলে৷ তাঁদের কথায়, স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেনের বাচ্চারা ভাত এবং মিট বল দিয়ে টমেটো সুপ খেতে পছন্দ করে৷ নিরামিষ রাভিওলি এবং নিরামিষ মুসুর ডালের সুপও পছন্দ করে তারা৷
‘আপেটিটো' অবশ্য এ কথাও বলছে যে, ছোটরা এবং টিনেজাররা খাবারদাবারে বৈচিত্র্য পছন্দ করে৷ যে
তুলনায় বড়রা অনেক বেশি প্রথামাফিক বা সাবেক খাবারদাবার পছন্দ করেন৷ যেমন বয়স্করা সকলেই একবাক্যে ‘বিফ রোলাডে' পছন্দ করেন৷ গরুর মাংস, সেদ্ধ আলু আর লাল বাঁধাকপি সহযোগে এই সাবেক খাবার তাই প্রথম স্থান দখল করেছে বড়দের মধ্যে৷ দ্বিতীয় স্থানে আছে মিটলোফের সঙ্গে পার্সলে প্যাটি এবং সাওয়ারক্রাউটের যুগলবন্দী৷ আর বিফ সহযোগে সবুজ বিনের স্টু হচ্ছে তৃতীয় সেরা সাবেক খাবার৷
স্বাদ বনাম স্বাস্থ্য
তবে খাবারের স্বাদই যে শেষ কথা নয়, সেটাও জানা গেল জার্মান পুষ্টিবিদের কাছ থেকে৷ জার্মান নিউট্রিশনাল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিজিই) বিশেষজ্ঞ সুজান লাইটজেন দুপুরবেলার আহারে এই সব খাবার থেকে মানুষকে দূরে থাকার পরামর্শই দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, মানুষ খাবারের পাতে শাকসবজি এবং যৌগিক শর্করা গ্রহণ করেই দিব্যি সুস্থ থাকতে পারেন৷
ডিজিই-র সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জার্মানির দুই তৃতীয়াংশ পুরুষ এবং প্রতি দু'জনের মধ্যে একজন নারী অতিরিক্ত ওজনের শিকার৷ সত্যি বলতে, জার্মানিতে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মারাত্মকরকম অতিরিক্ত ওজনবিশিষ্ট৷
কাজেই কোনটা খাওয়া উচিত আর উচিত নয়, সেটা সবসময় স্বাদ বিচার করে বলা যাবে না৷
আলেকজান্ডার পিয়ার্সন/পিএস