জিও জিদান যুগ ফিরিয়ে আনবে এনজো জিদান
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০তা জিনেদিন জিদান যার ফুটবল সম্পর্কে একটু লজ্জা লজ্জা মুখ করে বলেন, ‘আমার দু চারটে ট্রিক ও শিখে ফেলেছে,' সে ছেলে ভবিষ্যতের মার মার কাটকাট স্টার হবে যে তাতে কী সন্দেহ আছে আপনার? আমার কিন্তু একটুও নেই৷
স্টার সে ছেলে হয়েই আছে৷ জন্ম ফ্রান্সে হলেও মাদ্রিদেই থাকে এনজো, মা বাবার সঙ্গে৷ মা স্প্যানিশ, বাবা তো খোদ জিদান৷ ‘ছেলের নাম রেখেছিলাম আমার কৈশোরের হিরো এনজো ফ্রান্সিসকোলির নামে৷' বলেছেন জিদান৷ তা, সে ছেলে ফ্রান্সিসকোলির নাম রাখবে ভবিষ্যতে৷ রেয়াল মাদ্রিদের জুনিয়র টিমে গত নয় বছর ধরে সে ক্রমশ আরও আরও ভালো খেলছে৷ এবার তার জাতীয়তাবাদের মালিকানা কোন দেশ পাবে তা নিয়ে আসরে নেমে পড়েছে মাদ্রিদ আর প্যারিস৷
প্যারিসেই তো জিদানের দেশ৷ মানে ফ্রান্স৷ কিন্তু এনজোর মায়ের সূত্রে ছেলে মাদ্রিদেই থেকেছে বেশি৷ খেলেওছে৷ তাই স্পেনের দাবি একটু মারমুখী৷ সদ্য বিশ্বকাপ জেতার পর মাদ্রিদের আস্তিন এখন একটু গোটানোই থাকে সবসময়৷ তাই, স্পেনের জাতীয় পর্যায়ের সতেরো অনুর্দ্ধ দলটার ম্যানেজার গিনেস মেলেনডেজ টিএফওয়ান চ্যানেলকে একখানা আত্মবিশ্বাসী সাক্ষাত্কার দিয়ে দিয়েছেন৷ বলেছেন, ‘আমরা ওকে ডাকছি৷ ও স্পেনের হয়েই খেলবে৷ অক্টোবরের কোচিং শিবিরে ওর যোগ দেওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে ওর বাবার সঙ্গে কথা বলে নেব৷'
বাবা, মানে জিদান কী বলছেন? স্বভাবে লাজুক প্রকৃতির জিদান একটু লজ্জা পেয়েই বলেছেন, ‘আমি কোন পক্ষপাতিত্ব করব না৷ এনজো যা ভালো মনে করে করবে৷ ওর পর্যায়ের খেলায় দেশটা কতটা গুরুত্ব পায় সেটা ঠিক বুঝছি না৷'
আর এনজোর খেলা সম্পর্কে কী বুঝছেন? এ প্রশ্নের জবাবে ২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইটালির মাতেরাতজির পেটে মাথা দিয়ে ঢুঁসো মেরে দুনিয়াজুড়ে হৈচৈ ফেলে দিয়ে ফুটবলের রাজার সিংহাসন এক ঝটকায় ছেড়ে চলে যাওয়া জিদানের জবাব,
‘মাঠে ওর ড্রিবলিং দেখতে দেখতে খানিকটা যেন নিজেকেই দেখতে পাই৷'
তো, রাজা নিজেই যখন বুঝে গেছেন, তাহলে আর সন্দেহ থাকে কী ? সন্দেহ নেই যে এনজোর পায়ে পায়ে আবার ফিরে আসবে ‘জিও জিদান যুগ৷'
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম