‘জিওট্যাগিং’ লোকেশন জানাবার নয়া তরিকা
১ আগস্ট ২০১০বন্ধুদের লোকেশন জানানোর নতুন এক তরিকা এবার হাজির ইন্টারনেটে৷ তাকে বলা হচ্ছে ‘জিওট্যাগিং', কাজ আপনার সর্বশেষ লোকেশন ইন্টারনেট জগতকে জানানো৷ কখন বসুন্ধরা সিটিতে ঢুকলেন, কখনা বা গেলেন বলধা গার্ডেনে আবার কখন ডিনার করছেন বৈশাখিতে? সবই ইন্টারনেটে জেনে যাবে বন্ধুরা, এজন্য লিখতে হবে না কিছুই৷ শুধু মোবাইলে একটি এপ্লিকেশন চালু রাখলেই যথেষ্ট৷
জার্মানির সোশ্যাল মিডিয়া ম্যাগাজিনের সম্পাদক ইয়ান ক্রেমার এর কথায়, জিওট্যাগিং সামাজিক নেটওয়ার্কে নতুন এক ধারা৷ তবে, এই ধারা বেশ দ্রুতই ছড়াচ্ছে মানুষের মধ্যে৷
ইতিমধ্যে জিওট্যাগিং সেবাদাতা ফোরস্কোয়্যার, গোয়েলা কিংবা ফ্রেন্ডটিকার এর ধাক্কায় কিছুটা নড়তে শুরু করেছে ফেসবুক, টুইটারও৷ শুধু ফোরস্কোয়্যারে গত দেড় বছরে একাউন্ট খুলেছে দশ লাখের বেশি মানুষ৷ খোদ টুইটারও প্রথম দেড় বছরে এত সাফল্য পায়নি৷
জার্মানির তথ্য প্রযুক্তি সংগঠন বিটকম এর ক্রিস্টিনা ফেসনাক্ট জানান, সামাজিক নেটওয়ার্ক, শহর ভ্রমণ আর বন্ধু খোঁজার সুবিধা নিয়ে ফোরস্কোয়্যার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷ উদাহরন হিসেবে বলা যায়, এই সেবা ব্যবহার করে মানুষ জানতে পারছে কাছাকাছি কোথায় কনসার্ট হচ্ছে, কিংবা কাছের ভালো ক্লাব কোনটি৷
ফোরস্কোয়্যার কিংবা গোয়েলা-র ব্যবহারকারীদের অবশ্যই স্মার্টফোন থাকতে হবে৷ তাহলেই সম্ভব যখন তখন নিজের অবস্থান বন্ধুদের জানানো৷ এজন্য অবশ্য ‘চেক ইন' করতে হবে, মোবাইল ইন্টারনেট দিয়ে৷ রয়েছে বারবার ‘চেক ইন' এর ব্যবস্থা আবার স্বয়ংক্রিয় মানে যখন যেখানে যাবেন তার লোকেশন সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে জানানোর সরাসরি সুযোগ৷
অবশ্য ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞরা কিছুটা সতর্ক করছেন জিওট্যাগিং বিষয়ে৷ কেননা, প্রায়ই দেখা যায় অনেক নেহাত ভদ্রলোক ফেসবুকে পোস্ট করছেন, ‘আজ তোমার মেয়ে বন্ধু কে' কিংবা ‘আজ কাকে চুম্বন করবে তুমি', টাইপের বার্তা৷ পরে দেখা যায়, ভদ্রলোকটি আসলে ভুল করে একদিন চালু করেছিলেন কোন এক এপ্লিকেশন৷ এরপর প্রতিদিনই আসছে এমন ‘রোমাঞ্চকর' কিংবা বিব্রতকর বার্তা৷
জিওট্যাগিংও কিন্তু এভাবে বিব্রত করতে পারে ব্যবহারকারীকে৷ কখন, কোন বিশেষ জায়গায় গেলেন, তা যদি সবাই যেনে যায় তাহলে কিন্তু বিপদ হতে পারে৷ তাই, আপাতত জিওট্যাগিং ব্যবহার করুন নিজের ইচ্ছায় ... খবরদার! স্বয়ংক্রিয়ভাবে নয় কিন্তু! তাহলেই আপনার জীবনের যাবতীয় গোপনীয়তা হাটের মাঝখানে হাঁড়ির মত ফেটে যেতে পারে, আর তারপর যে কি হবে বা হতে পারে, সেকথা আর নাহয় না-ই বা বললাম...
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়