‘পশ্চিমবঙ্গ জিহাদিদের আখড়া’
৬ অক্টোবর ২০১৪রবিবার থেকেই শোরগোল টুইটারে৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গ নাকি এখন জেহাদিদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে৷ এই অভিযোগ সেদেশের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির৷ বাংলাদেশে এবং ভারতের একাধিক সংবাদপত্রে প্রকাশ হয়েছে এই খবর৷
দৈনিক কালেরকণ্ঠ এই বিষয়ে লিখেছে, ‘‘(২ অক্টোবর) বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে৷ তদন্তে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এক তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকেই উদ্ধার করেছে জিহাদিদের বই, মোবাইল ফোন ইত্যাদি৷ এমনকি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা পৌঁছানোর আগেই তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে৷''
এই খবরকে কেন্দ্র করে টুইটারে মন্তব্য করেছেন অনেকে৷ গত চব্বিশ ঘণ্টায় ইংরেজিতে #তৃণমূলজিহাদ এবং #জিহাদিদিদি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার হয়েছে সহস্রাধিকবার৷ লেখক এবং সাংবাদিক কাঞ্চনগুপ্তা লিখেছেন, ‘‘একজন এমপি বাংলাদেশে জামাতিদের অর্থায়ন করছে৷ আরেকজনের বাড়ি ব্যবহার করেছে আইএম৷ তৃতীয় এক এমপি নারীদের ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছেন৷ আর চতুর্থ জন বাংলাদেশকে সমর্থন করছেন৷''
চক্রনিউজ ডটকম টুইটারে একটি গ্রাফিক প্রকাশ করেছে৷ এতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে এবং তাঁকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না, সে প্রশ্ন করা হয়েছে৷
মমতার সমালোচনায় করা টুইটার পোস্টগুলোতে ঘুরেফিরে এসেছে বাংলাদেশের প্রসঙ্গও৷ জামায়াতের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের কথা লিখেছেন অনেকে৷ নিবেদিতা নামক এক টুইটার ব্যবহারকারী ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশকে পশ্চিমবঙ্গের চেয়েও ভালো দেখাচ্ছে৷ এর সব কৃতিত্ব পাবেন #জিহাদিদিদি৷''
প্রসঙ্গত, টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন আনুষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট নেই৷ তবে ফেসবুকে তাঁর পাতায় এ সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি৷ ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা ৬ অক্টোবর এক প্রতিবেদনে তৃণমূলের বক্তব্য প্রকাশ করেছে এভাবে, ‘‘তৃণমূল অবশ্য পাল্টা দাবি করেছে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করার জন্যই বিজেপি-সিপিএম এমন অভিযোগ করছে৷''
চলচ্চিত্র এবং পুস্তক সমালোচক প্রবাল এই বিষয়ে টুইটারে বিজেপির উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘‘আপনারা কেনো কমিউনিস্টদের সমর্থন করছেন, যারা বাংলাদেশে গরু চোরচালানের সঙ্গে জড়িত৷''
উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বাংলাদেশ ইস্যুতে তাঁর নীতির সঙ্গে ভারতের কেন্দ্র সরকারের নীতির ফারাক অনেক৷ আর এই বিষয়টি মাঝেমাঝেই আলোচনায় উঠে আসে৷