জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিতে নাগরিক অসন্তোষ: ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
১১ মে ২০২২১৩২টি দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আগামী ছয় মাসের নাগরিক অস্থিরতা সূচক (সিভিল আনরেস্ট ইনডেক্স) প্রকাশ করেছে বৈশ্বিক ঝুঁকি এবং কৌশলগত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ভেরিস্ক ম্যাপলক্রফট৷ প্রতিবেদনে তারা বলেছে, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের উপরই চাপ বাড়ছে৷ এক্ষেত্রে মধ্য আয়ের দেশগুলো বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে৷ তাদের সূচকে উচ্চ ঝুঁকি বা চরম ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর দুই-তৃতীয়াংশই বিশ্ব ব্যাংকের নিম্ন মধ্যম বা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের তালিকাভুক্ত৷
এরইমধ্যে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে জনরোষের মুখে শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীসভার অধিকাংশ সদস্য পদত্যাগ করেছেন৷ কয়েক মাস আগে কাজাখস্তানেও দেখা দেয় অস্থিরতা৷ ম্যাপলক্রফট বলছে, চলতি বছর এমন অস্থিরতার ঝুঁকি আছে অন্য উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোতেও৷ এক্ষেত্রে যে ১০টি দেশকে আলাদাভাবে নজরে রাখার কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো: আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, মিশর, টিউনিসিয়া, লেবানন, সেনেগাল, কেনিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইন্স৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারির সময়ে এই দেশগুলো তাদের জনগণের সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে৷ কিন্তু ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রায় ব্যয় বহন করতে গিয়ে তারা এখন হিমশিম খাচ্ছে৷ খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অস্থিতিশীলতার কারণ হয়ে উঠতে পারে৷
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে চলেছে৷ বাড়ছে জ্বালানির দামও ৷ এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়ছে আমদানি নির্ভর দেশগুলো৷ ম্যাপলক্রফট বলছে, এই মুহূর্তে কোন সমাধান না থাকায়, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির এই সংকট ২০২৩ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে৷
ম্যাপলক্রফট বলছে, নাগরিক অস্থিরতা দেশগুলোর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাধা তৈরি করে৷ এছাড়া ভবিষ্যতে বিনিয়োগকারীরা এই দেশগুলোতে বিনিয়োগ করবেন কিনা সেটিও অনিশ্চিয়তার মুখে পড়তে পারে৷
এএস/এফএস (রয়টার্স, ম্যাপলক্রফট)