জুমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা খারিজ
৮ এপ্রিল ২০০৯মামলার প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে ডারবান হাই কোর্ট মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার জনপ্রিয় নেতা জেকব জুমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা বাতিল করে দিয়েছে৷ তবে আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, জুমা অপরাধী নাকি নিরপরাধ এ বিষয়ে আদালতের কিছু বলার নেই – কেননা বাদীপক্ষের ভুলের কারণে মামলা খারিজ হয়ে গেছে৷ তবে বাদী পক্ষ ডেমোক্রেটিক এ্যালাইন্স বিচারকদের বিরুদ্ধে আসামির সাথে সমঝোতার অভিযোগ করেছে৷ তারা আদালতের এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেছে৷ জুমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, প্রতারণা, অর্থ পাচার এবং অবৈধ উপায়ে অর্থোপার্জনের অভিযোগ আনা হয়েছিল৷ দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট তাবো এমবেকির সহযোগীরা জুমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল৷ এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত আট বছর ধরে তদন্ত চলার পর অবশেষে মামলা খারিজ করা হলো৷
রায় ঘোষণার পর ডারবান আদালত প্রাঙ্গণের বাইরে শত শত সমর্থক জুমাকে অভিবাদন জানায় এবং তাঁর পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে৷ আদালতের রায় ঘোষণার পর জেকব জুমা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, যে তিনি রাষ্ট্র কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণের বিরুদ্ধে কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না৷ তিনি বলেন, বিগত ৮ বছর ধরে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত৷ তিনি বলেন, তিনি ক্ষমতায় আসলে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিশোধ নেবেন না৷ বরং তিনি দেশটির দারিদ্র্য, অপরাধ এবং এইচআইভি/এইডস মোকাবেলায় প্রচেষ্টা চালাবেন৷ তিনি বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে জাতীয় সংসদসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা এ মামলার মাধ্যমে প্রতীয়মান হয়ে ওঠে৷ তিনি এসময় তাঁর বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা অভিযোগের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্য গণমাধ্যমের সমালোচনা করেন৷
২২ এপ্রিল সেখানে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে এএনসি জয়ের স্বপ্ন দেখছে৷ বর্তমান সংসদে এএনসির ৭০ শতাংশ সমর্থন রয়েছে৷ আর এএনসি বিজয়ী হলে ৬৬ বছর বয়সী জুমাই হবেন আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী এই দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট৷ জুমার নেতৃত্বাধীন এএনসি গত বছর সেপ্টেম্বরে তাবো এমবেকিকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে৷
প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারুক