1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জুম্মার নামাজের পর সিরিয়া ও মিশরে বিক্ষোভ

১৫ জুলাই ২০১১

আরব বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে একমাত্র জুম্মার নামাজ উপলক্ষ্যেই কর্তৃপক্ষ বড় আকারের জমায়েতের অনুমতি দেয়৷ সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আজও সিরিয়া ও মিশরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী তাদের অসন্তোষ দেখিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/11wAN
epa02820566 Egyptians wave their national flags and shout slogans as a sit-in takes place at Tahrir square, Cairo, Egypt, 12 July 2011. Egypt's military rulers on 12 July warned protesters against "harming public interests" after they vowed escalation as their Cairo sit-in entered its fifth day . A spokesman for the Supreme Council of the Armed Forces, which has been running the country since February, said in a televised address that "freedom of expression is guaranteed to everyone within the limits of the law. EPA/AMEL PAIN +++(c) dpa - Bildfunk+++
আবারো বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে মিশরছবি: picture alliance / dpa

সিরিয়ায় তুমুল বিক্ষোভ

সিরিয়ায় শুক্রবার বিক্ষোভের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে৷ ফেসবুকের মাধ্যমে গোটা দেশে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়৷ পুলিশ সরাসরি বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে৷ রাজধানী দামেস্ক, দারা ও ইদিব প্রদেশে পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ১২ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে৷ দামেস্কের একটি এলাকায়ই প্রায় ২০,০০০ মানুষ সরকার বিরোধী মিছিল করেছে৷ হোমস শহরে ১৫ জন বিক্ষোভকারী পুলিশে গুলিতে আহত হয়েছে৷ এক মানবাধিকার গোষ্ঠীর হিসেব অনুযায়ী দেইর এজর শহরে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ও হামা শহরে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে৷

মিশরে সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ

কায়রোর তাহরির স্ক্যোয়ার আবার উত্তাল৷ ঠিক যেন বিপ্লবের দিনগুলি আবার ফিরে এসেছে৷ প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলছে প্রতিবাদ বিক্ষোভ৷ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কায়রো ও আলেক্সান্দ্রিয়ায় হাজার হাজার মানুষ পথে নেমেছে৷ বিক্ষোভকারীরা বলছে, মুবারকের অপসারণের পর সামরিক জেনারেলরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যেসব সংস্কারের অঙ্গীকার করেছিলেন, তা পালন করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন৷ এখনো সামরিক আদালতে বেসামরিক অভিযুক্তদের বিচার চলছে৷ তাছাড়া সামরিক ক্ষমতাধারীরা এখনো যেভাবে হুমকির সুরে কথা বলে চলেছে, তাও তাদের পছন্দ নয়৷ বিরোধী গোষ্ঠী ‘মুসলিম ব্রাদারহুড' অবশ্য এবারের বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে না৷ তারা সামরিক শাসকদের আরও কিছুটা সময় দিতে প্রস্তুত৷ এককালে সামরিক বাহিনী তাদের নিষিদ্ধ করলেও বর্তমানে তারা উপকৃত হচ্ছে৷ কিন্তু নবীন প্রজন্মের ধর্মনিরপেক্ষ বিক্ষোভকারীরা এত ধৈর্য ধরতে চাইছে না৷ ফলে বিরোধী ঐক্যে কিছুটা ফাটল দেখা যাচ্ছে৷

NO FLASH!!! Syrian army soldiers, stand guard at Sheikh Daher square after the violence between security forces and armed groups in Latakia, northwest of Damascus, Syria, on Sunday, March 27, 2011. Gangs of young men, some armed with swords and hunting rifles, roamed Sunday through the streets of a Syrian seaside city, closing alleys with barricades and roughly questioning passersby in streets scarred by days of anti-government unrest. The scenes in Latakia, a Mediterranean port once known as a summmer tourist draw, were a remarkable display of anarchy in what had been one of the Mideast's most tightly controlled countries. (AP Photo/Hussein Malla)
সিরিয়াতেও বিক্ষোভ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে আরো...ছবি: AP

সামরিক বাহিনীর প্রতিক্রিয়া

সামরিক বাহিনীর কর্তাব্যক্তিরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সামরিক আদালতে শুধুমাত্র গুরুতর অপরাধের বিচার চলছে৷ ভিন্ন মতের কণ্ঠ রোধ করার কোনো চেষ্টা চলছে না৷ তাছাড়া সামরিক বাহিনী আইনি পথেই বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টা করছে, হিংসার পথে যাচ্ছে না৷ প্রধানমন্ত্রী এসাম শরাফ মন্ত্রিসভায় রদবদলের যে উদ্যোগ নিয়েছেন, সামরিক বাহিনী তার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে৷ বিরোধীদের দামি মতো মুবারক জমানার পুলিশ বাহিনীর অনেক উচ্চপদস্থ অফিসারকে অপসারণ করা হচ্ছে৷ বিক্ষোভকারীরা বিচার বিভাগের শীর্ষেও একই ধরণের রদবদলের দাবি করছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য