জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রথম দিন
জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়েছে৷ বিচার কাজ পরিচালনার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে৷
ট্রাইব্যুনাল গঠন
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে জুলাই–আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার৷ তিন সদস্য বিশিষ্ট এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার৷ দুই সদস্য হলেন– বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী৷ চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম৷
বিচারকাজ শুরু
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম৷ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন৷
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিচারকাজ শুরুর দিনে পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানি জারি করে ট্রাইব্যুনাল৷ ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে এই ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান, চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম৷
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রার্থীরাও আদালতে
জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার কিছু পরিবারও বিচারের দাবিতে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছেন বলে জানা গেছে৷
৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে ২০১০ সালে এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়৷ এই ট্রাইব্যুনালে ইতিমধ্যে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অনেকেরই শাস্তি কার্যকর হয়েছে৷ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আরো কয়েকজনের বিচার ট্রাইব্যুনালে চলছিল৷
আরআর/এসিবি (প্রথম আলো, ডেইলি স্টার)