যুদ্ধাপরাধের রায় কার্যকর শীঘ্রই
২৯ মে ২০১৩তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হন ইনু ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বুধবার বলেন, খালেদা জিয়া যতই চেষ্টা করুন না কেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে পারবেন না৷ কারণ রায় বহাল থাকলে আগামী জুলাই-আগস্ট মাসেই দণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ড কার্যকর হবে৷ তিনি বলেন, যতই সন্ত্রাস করা হোকনা কেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ হবেনা৷
তথ্যমন্ত্রীর এই কথার ব্যাখ্যা ডয়চে ভেলেকে দেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত৷ তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয়৷ আপিল নিষ্পত্তির সময় ৬০ দিন৷ এই ৬০ দিনের সময়সীমা বাধ্যতামূলক নয়, নির্দেশনামূলক৷ তবে এতে দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে৷ আপিল বিভাগও দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করছেন৷
তিনি আরও জানান, কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র এবং আসামি দুই পক্ষই আপিল করেছে৷ আপিলের পর শুনানি শুরু হয়ে ৬০ দিন পার হলেও খুব বেশি বিলম্ব হচ্ছেনা৷ আপিল শুনানি শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷ আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই শেষ হবে বলে তার আশা৷ এরপর আপিল বিভাগ রায় দেবেন৷ এই চূড়ান্ত রায়ের পর তা কার্যকর করতে খুব বেশি সময় লাগার কথা না৷ সে হিসেবে রায় আপিল বিভাগে বহাল থাকলে জুলাই আগস্টের মধ্যে অন্তত এটি দণ্ড কার্যকর হওয়াই স্বাভাবিক৷
রানা দাসগুপ্ত জানান, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় নিয়েও আপিল হয়েছে৷ শিগগিরই তার শুনানি শুরু হবে৷ অন্যান্য রায়ের ব্যাপারেও আপিল হবে৷ তবে এগুলো আপিল হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলেও দীর্ঘায়িত হবে না বলেই তিনি মনে করেন৷
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ পর্যন্ত চারটি মামলায় রায় দিয়েছে৷ এর মধ্যে আবুল কালাম আজাদ, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী এবং কামারুজ্জানকে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছে৷ আর কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ আর জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আজমের বিরুদ্ধে মামলাটি রায় ঘোষণার অপেক্ষায় আছে৷ যে কোনো দিন রায়ের তারিখ ঘোষণা করবে ট্রাইব্যুনাল৷
প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত জানান, ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলাগুলোর কাজও দ্রুত এগোচ্ছে৷ শিগগিরই নতুন মামলা হবে ৷
এদিকে রায় বহাল থাকলে জুলাই আগস্টে দণ্ড কার্যকর হবে – তথ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি৷