ভারতের ফুটবলেও দুর্নীতি দমন সংস্থা
২৩ জানুয়ারি ২০১৪
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)-এর প্রধান নির্বাহী সুনন্দ ধর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে এ কথা জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘পুরো ব্যাপারটা ধোঁকা কিংবা বিচ্ছিন্ন কোনো প্রস্তাবও হতে পারে, তবে আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে৷’’ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে একটি দুর্নীতি দমন কমিশন গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি৷
গত সপ্তাহে নতুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় উঠে আসে ভারতীয় পেশাদার লিগ ‘আই লিগ’-এর দল মুম্বই এফসি-কে এক ব্যবসায়ীর ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেয়ার খবর৷ ফিফা এবং ইন্টারপোলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ঐ কর্মশালায় মুম্বই এফসি-র কর্মকর্তা অতুল বাগদানিয়া জানান, গত বছর এক ব্যবসায়ী তাঁর দলকে মালয়েশিয়ায় কয়েকটি প্রীতি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দেন৷ মালয়েশিয়ায় যাওয়া এবং প্রীতি ম্যাচ খেলার সময় সেখানে থাকার খরচ ওই ব্যবসায়ী দেবেন বলেও জানানো হয় তখন৷ পরবর্তীতে ফোনে আই লিগে পাতানো ম্যাচ খেলার কথাও বলা হয়৷ সুনন্দ ধর জানান, ম্যাচ পাতানোর কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়৷
মালয়েশিয়ায় সম্প্রতি ম্যাচ পাতানোর কারণে একটি ক্লাবের পাঁচ জন খেলোয়াড় এবং তিন জন কর্মকর্তার প্রত্যেককে ২০ হাজার রিঙ্গিত (৬ হাজার ডলার) করে জরিমানা করে আজীবন নিষিদ্ধও করা হয়৷ ভারতের ফুটবলে অবশ্য ম্যাচ পাতানো বা জুয়াড়িদের তৎপরতার অভিযোগ আগে ওঠেনি৷ দেশটির সবচেয়ে জণপ্রিয় খেলা ক্রিকেটকেই এতদিন ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারি ঘিরে রেখেছিল৷ এ অভিযোগে ২০০২ সালে আজীবন নিষিদ্ধ হন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক হানসি ক্রনিয়ে, ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন এবং পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সেলিম মালিক৷ আরো কয়েকজন ক্রিকেটারকে তখন বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়৷ গত বছর আইপিএলকে কলঙ্কিত করেছে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি৷ এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভারতের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার শান্তাকুমারণ শ্রীশান্তসহ তিন ক্রিকেটারকে সব ধরণের ক্রিকেটে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি)