জেরুসালেমের মসজিদ থেকে সরলো নিরাপত্তা বেষ্টনী
অবশেষে জেরুসালেমের হারাম আল-শরিফ বা টেম্পল মাউন্ট থেকে মেটাল ডিটেক্টর দরজা এবং নিরাপত্তার জন্য নেয়া বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ৷ এতদিন বয়কট করলেও এখন মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা৷
আনন্দ উদযাপন
বৃহস্পতিবার সকালে নিরাপত্তা বেষ্টনী সরিয়ে নেয়ার খবরে ফিলিস্তিনিরা রাস্তায় নেমে আসেন৷ আতশবাজি ফুটিয়ে, গাড়ির হর্ন বাজিয়ে তাঁরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ বিক্ষোভের মুখে পবিত্র হারাম আল-শরিফ থেকে বিভিন্ন নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরিয়ে নেয়াকে আন্দোলনের বিজয় হিসেবে দেখছেন ফিলিস্তিনিরা৷
মসজিদে ফিরছেন মুসল্লিরা
মসজিদের প্রবেশমুখে নিরাপত্তা সরঞ্জাম বসানোর প্রতিবাদে মুসল্লিরা মসজিদের বাইরে রাস্তায় নামাজ পড়েন৷ কিন্তু মেটাল ডোর সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তে মসজিদে ফিরতে শুরু করেছেন তাঁরা৷ বৃহস্পতিবার অনেককেই মসজিদে প্রবেশ করতে দেখা গেছে৷
বিক্ষোভ কমবে কি?
হারাম আল-শরিফ ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত৷ সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে শুধু জেরুসালেম নয়, পশ্চিম তীরের অন্যান্য এলাকা, এমনকি গাজা উপত্যকাতেও ছড়িয়ে পড়ে সহিংস বিক্ষোভ৷ ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ছ’জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে৷ ফলে এত সহজে এই ক্ষোভ স্তিমিত হবে বলে মনে করছেন না কেউই৷
নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা
বিক্ষোভের মুখে নিরাপত্তা বেষ্টনী সরিয়ে নিলেও মূল পরিকল্পনা থেকে সরে আসেননি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ আগামি কয়েক মাসের মধ্যে মসজিদের বিভিন্ন স্থানে ‘ফেস রিকগনিশন’ ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি৷ এই ক্যামেরার মাধ্যমে মসজিদ চত্ত্বরে যারাই আসা যাওয়া করবেন, সবার পরিচয় শনাক্ত করা যাবে৷
বিরোধের উৎপত্তি
১৪ জুলাই দুই আরব বন্দুকধারী মসজিদ চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনীর ওপর গুলি চালায়৷ এতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন৷ বন্দুকধারীদের সাথে ফিলিস্তিনিদের সম্পর্ক আছে বলে মনে করছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী৷ এরপর থেকে চলছে ধরপাকড়৷
কী এই হারাম আল-শরীফ/টেম্পল মাউন্ট?
পূর্ব জেরুসালেমের এই স্থানটি মুসলিম এবং ইহুদিদের কাছে সমান পবিত্র৷ মুসলিমরা একে হারাম আল-শরিফ নাম এবং ইহুদিরা ডাকেন টেম্পল মাউন্ট নামে৷ ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল বাহিনী এই চত্ত্বর দখল করে নেয়৷ তবে এই অঞ্চলে ইসরায়েলের কর্তৃত্বের স্বীকৃতি মেলেনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে৷