জোট সরকার গঠন সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনায় প্রগতি
১৭ অক্টোবর ২০০৯দৃশ্যত মুক্ত গণতন্ত্রী এফডিপি এবং খৃষ্টীয় ইউনিয়ন দলগুলি মাঝারি আকারের শিল্পসংস্থাগুলিকে তাদের অর্থনীতি সংক্রান্ত বিচার-বিবেচনার কেন্দ্রবিন্দু করতে চায়৷ ফেডারাল অর্থনীতিমন্ত্রী কার্ল-থিওডোর সু গুটেনবের্গ শনিবার সাংবাদিকদের এ’কথা জানিয়েছেন৷ সেই সঙ্গে আমলাতন্ত্রের খরচ-খরচা এক-চতুর্থাংশ কমানো হবে, বলে তিনি জানান৷ এফডিপি’র দলীয় উপ-প্রধান রাইনার ব্রুডার্লে ব্যাপারটা আরো স্পষ্ট করে দেন: ‘‘আমরা চাই, নাগরিকরা এবং মাঝারি শিল্প যেন আমলাদের হাতে কম নাজেহাল হয়,’’ বলেন ব্রুডার্লে৷ উভয় রাজনীতিকের বিবৃতি অনুযায়ী সেজন্য এক পর্যায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ব্যবসার হিসেবপত্র থেকে শুরু করে, কতোদিন অবধি নথিপত্র জমা রাখতে হবে, সেই অবধি৷ এ সবই আরো দ্রুত এবং প্রক্রিয়াদুরস্ত করা হবে৷ এছাড়া টেন্ডার বন্টনের প্রক্রিয়াতেও রদবদল করা হবে৷
আণবিক চুল্লীর মেয়াদ বাড়বে
খুঁটিনাটির মতো শোনালেও, যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক জীবনে এ-ধরণের সরলীকরণের ব্যবহারিক মূল্য অসীম৷ - অপরদিকে গুটেনবের্গ জানান যে, উভয় তরফের অর্থনীতি এবং পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা নীতিগতভাবে জ্বালানি শক্তির ব্যাপারেও একমত৷ লক্ষ্য হল, বিকল্প জ্বালানির মাধ্যমে শক্তি সরবরাহ, বলে ব্রুডার্লে জানান৷ অপরদিকে জ্বালানির মূল্য অত্যধিক বাড়লে চলবে না৷ তাঁর মতে, শক্তি সরবরাহের নিরাপত্তা এবং বিকল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, উভয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে হবে৷ - বস্তুত এর অর্থ হল, নতুন জোট সরকার মোটামুটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আণবিক চুল্লীগুলি চালানোর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে৷ তবে সেটা কতো বছরের জন্য, তা নিয়ে এফডিপি এবং ইউনিয়ন দলগুলির মধ্যে মতভেদ রয়েছে৷
কর কমানোর সুযোগ
অপরদিকে নির্বাচনী প্রচার অভিযানে এফডিপি এবং ইউনিয়ন দলগুলি, সকলেই কর কমানোর কথা বলেছে৷ এ-বিষয়ে ঐকমত্য গোড়া থেকেই৷ কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সেটা কতোদূর সম্ভব হবে, তাই নিয়েই চিন্তা-ভাবনা৷ শুক্রবার জার্মান সরকার ঘোষণা করেন যে, চলতি বছরে জার্মান অর্থনীতি পাঁচ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে, এবং ২০১০ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ১.২ শতাংশ৷ ইতিপূর্বে কিন্তু পরিসংখ্যান ছিল: চলতি বছরে ছয় শতাংশ সঙ্কোচন এবং ২০১০-এ আধ শতাংশ প্রবৃদ্ধি৷ অতএব মন্দার অন্তের আশা দেখা দেওয়ায় ভবিষ্যৎ জোট সরকারের অংশীদাররা আরো দরাজভাবে কর কমানোর সুযোগ পাবার আশা করছেন৷
শেষমেষ মন্ত্রীপদের ভাগাভাগি, যদিও তা ঘটবার কথা আগামী সপ্তাহের শেষাশেষি৷ সিডিইউ, সিএসইউ, এফডিপি, সকলেই অর্থ মন্ত্রকটি পেতে পারে৷ সেক্ষেত্রে সিডিইউ’র থমাস ডে’মেজিয়ার বা রোলান্ড কখ, অথবা এফডিপি’র হের্মান অটো সল্মস কি সিএসইউ-এর গুটেনবের্গের নাম শোনা যাচ্ছে৷ আর গুটেনবের্গ অর্থমন্ত্রী হলে এফডিপি’র ব্রুডার্লে অর্থনীতিমন্ত্রী হতে পারেন৷
প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম