জ্যাকসনের মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট
১২ জানুয়ারি ২০১১২০০৯ সালের ২৫শে জুন ৫০ বছর বয়সে মারা যান জনপ্রিয় এই পপ তারকা৷ মাত্রা অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণের ফলে জ্যাকসনের অকাল মৃত্যু হয়েছে কিনা - তা নিয়ে তখন থেকেই দেখা দেয় প্রশ্ন৷ ময়না তদন্তের রিপোর্টেও দেখা যায়, মৃত্যুর সঙ্গে ওষুধ গ্রহণের একটি সম্পর্ক রয়েছে৷ তাই পপ সম্রাটের মৃত্যুর ব্যাপারে তখন থেকেই অভিযোগ ওঠে তাঁর চিকিৎসক ডাক্তার কনরাড মারের বিরুদ্ধে৷
ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা লস অ্যাঞ্জেলস'এর ফরেনসিক মেডিসিনের প্রধান ক্রিস্টোফার রোজার্স৷ তিনি সাক্ষ্য দেন, পপ তারকার এই মৃত্যু ছিল এক ধরণের নরহত্যা৷ তাই মঙ্গলবার, এ নিয়ে আবারো নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷ বিশ্ব বিখ্যাত ঐ গায়কের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিচারের কাঠগড়ায় উঠানো হয়েছে ডাক্তার মারেকে৷ বলা হচ্ছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে মাত্রা অতিরিক্ত ওষুধ দিয়ে জ্যাকসনকে হত্যা করেন তিনি৷ এবং এই অভিযোগের কারণেই ডাক্তার মারের মেডিকেল লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে৷
সম্প্রতি ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ডেভিড ওয়ালগ্রেনও বলেন যে, মাইকেল জ্যাকসন অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ডাক্তার মারে তাঁকে বেশ হাই ডোজের একটি ইনজেকশান দেন, যার নাম প্রপোফল৷ এখানেই শেষ নয়, ওয়ালগ্রেন আরো জানান, ডাক্তার মারে যে সব ওষুধ মাইকেল জ্যাকসনকে দিতেন সেসব ছিল সাধারণ মেডিক্যাল কেয়ার বহির্ভূত৷
ময়না তদন্তকারী কর্মকর্তা অবশ্য আগেই বলেছিলেন, প্রপোফল এবং লোরাজেপাম - এই দু'টি ওষুধ মূলতঃ জ্যাকসনের মৃত্যুর জন্য দায়ী৷ আর ডাক্তার মারেই জ্যাকসনকে এ দু'টি ওষুধ দিয়েছিলেন৷ শুধু তাই নয়, আইনজীবী জে. মাইকেল ফ্লানাগেন বলেন, কেবলমাত্র ডাক্তার মারেই জ্যাকসনকে ওষুধ গ্রহণের পরামর্শ দিতে পারতেন৷ তাই ক্রিস্টোফার রোজার্স'এর কথায়, নরহত্যার চেয়ে এই বিষয়টি তাঁর কাছে আলাদা কিছু নয়৷ কেননা, মারের দায়িত্বহীনতার কারণেই এমনটি ঘটেছিল৷
তবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওষুধ প্রয়োগ করার মাধ্যমে ডাক্তার মারে মাইকেল জ্যাকসনকে হত্যা করেছেন কিনা - এখন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ অবশ্য জ্যাকসনের আইনজীবী বলছেন, ডাক্তার মারে ঘরের বাইরে চলে যাওয়ার পরও, পপ সম্রাট নিজেই তাঁর শরীরে ইনজেকশন দিতে পারতেন৷ এখন চলছে সাক্ষ্যপ্রমাণের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ের শুনানি৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ