‘জয় সোচ্চার, তারেক নিরব’
১৮ আগস্ট ২০১৩সজীব ওয়াজেদ জয় নানা বিষয় নিয়ে কথা বললেও তারেক রহমান একেবারেই নিরব৷ এমনকি জয়ের কোন অভিযোগের জবাবও দিচ্ছেন না তিনি৷ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই বিষয়ে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জয় সদ্য রাজনীতিতে আসার চেষ্টা করছেন এ কারণেই হয়ত তিনি বেশি কথা বলছেন৷ আর তারেক রহমানকে কেন তাঁর কথার জবাব দিতে হবে? বিএনপিতে অনেক নেতাই কথা বলছেন৷ দলের মুখপাত্রও আছেন৷''
বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মতে, ‘‘তারেক রহমান একজন পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদ৷ তিনি জয়ের সব কথার জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করছেন না৷''
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘জয় নতুন রাজনীতিতে এসে নিজেকে জাতির সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন৷ তাঁর মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়ত ছেলেকে সেই সুযোগ দিচ্ছেন৷ কিন্তু দেশের মানুষ বুঝে গেছেন জয়ের রাজনীতি নিয়ে কোন ধারণাই নেই৷ তাছাড়া তিনি দেশের মানুষের সঙ্গে কখনও মেশেননি৷ ফলে তিনি বুঝতে পারছেন না কি বলা উচিত, আর কাকে নিয়ে কথা বলা উচিত৷''
প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগষ্ট শোক দিবসের দিন ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, ‘‘এটি সত্যিই দুঃখজনক যে খালেদা জিয়া প্রতি বছর এইদিনে তার জন্মদিন পালন করতে পছন্দ করে৷ বিভিন্ন দাপ্তরিক নথিতে তার তালিকাভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন জন্মদিন আছে, যার কোনটিই ১৫ই আগস্ট নয়৷ কি ধরনের ব্যক্তি এটি করতে পারে?''
এর আগে তারেক রহমান নিয়ে এক মন্তব্য করতে গিয়ে জয় বলেছেন, ‘‘আমরা লেখাপড়া শিখেছি, দেশের টাকা মেরে আমাদের চলতে হবে না৷ কিন্তু যারা পড়াশোনা শেখেনি তারাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত৷''
জয়ের এসব বক্তব্যের জবাবে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘তারেক রহমানকে নিয়ে তিনি যেসব মন্তব্য করছেন তা অনভিপ্রেত৷ কারণ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির মামলা বর্তমান সরকার প্রমাণ করতে পারেনি৷ আর চিকিত্সার জন্য বর্তমানে তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন৷ প্রয়োজন হলে সময় মতো তিনি দেশে ফিরে আসবেন৷''
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘জয় সস্তা কথা বলে নিজেকে জনপ্রিয় করে তোলার চেষ্টা করছেন৷ এভাবে রাজনীতিতে আসা যায় না, আর আসা গেলেও দেশের মানুষ তা ভালোভাবে নেবে না৷''
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘তারেক রহমান তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে আজ এ পর্যায়ে এসেছে৷ তাঁর সমকক্ষ হতে হলে অবশ্যই রাজনীতি করে আসতে হবে৷''
আগামী নির্বাচনে মানুষ বিএনপিকে ভোট দিতে মুখিয়ে আছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘‘নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলেই সরকার বুঝতে পারবে কাদের জনপ্রিয়তা কত৷'' নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান৷