1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টঙ্গীতে শুক্রবার শুরু হলো বিশ্ব ইজতেমা

১৩ জানুয়ারি ২০১২

ইজতেমার প্রথম পর্যায়ে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার থেকেই দেশ-বিদেশের হাজার হাজার মুসল্লি জড়ো হতে শুরু করেন৷ হজ্জ-এর পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসম্মেলন হল এই বিশ্ব ইজতেমা৷

https://p.dw.com/p/13j3B
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের ভিড়ছবি: Reuters

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমা৷ গতবারের মতো এবারো দুই পর্যায়ে ইজতেমা হচ্ছে৷ প্রথম পর্যায়ে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার থেকেই দেশ-বিদেশের হাজার হাজার মুসল্লি জড়ো হতে শুরু করেন ইজতেমা ময়দানে৷ শুক্রবার ফজরের নামাজের পর পাকিস্তানের হাজী আব্দুল ওয়াহাবের বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই মহা সম্মেলন৷

ইজতেমা উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন করে নিরাপত্তার খবর নিয়েছেন৷ রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্যায় শেষ হবে৷ প্রথম পর্বে অংশ নিচ্ছেন ৩২টি জেলার মুসল্লিরা৷ চার দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি শুরু হবে ইজতেমার দ্বিতীয় দফা৷ ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের বার্ষিক এই সম্মেলন৷

১৯৪৬ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ শুরুতে ইজতেমা হতো ঢাকার কাকরাইল মসজিদে৷ এরপর '৪৮-এ চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে এবং '৫৮তে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়৷ ইজতেমায় লোক সমাগম বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন৷ এরপর থেকে এখানেই ইজতেমা হচ্ছে৷

Bangladesch Biswa Ijtema in Dhaka
হজ্জ-এর পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসম্মেলনছবি: Reuters

এবারের প্রথম দফা বিশ্ব ইজতেমার শুরুর দিন শুক্রবার দুপুর অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ৷ সম্পূর্ণ অনানুষ্ঠানিক ও সভাপতিত্বহীন এ বিশ্ব সম্মেলনে যোগ দিতে ট্রেন, বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, ট্যাক্সি, স্কুটার, নৌকা ও পায়ে হেঁটে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে পৌঁছেছেন শুক্রবার সকালে৷ গত দুই দিনে হৃদরাগে আক্রান্ত হয়ে ৫ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে৷

এদিকে মুসলিম জাহানের শান্তি কামনা করে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী৷ ইজতেমায় আগত দেশের ও বিদেশের মুসল্লিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বৃহস্পতিবার তাঁর বাণীতে বলেন, এই মহামিলন ইসলামের আদর্শ এবং কোরআন ও সুন্নাহর শিক্ষাকে বিশ্ববাসীর কাছে ছড়িয়ে দিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে৷ প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ইজতেমায় আগত বিদেশি মেহমানদের মাধ্যমে আবহমানকাল ধরে আমাদের লালিত অসাম্প্রদায়িক চেতনা, অকৃত্রিম সরলতা ও অতিথিপরায়ণতা এবং সহিষ্ণুতার আলোকবার্তা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে যাবে৷

প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য