টরেসের জন্য ক্লাব বিশ্বকাপও কোনো সান্ত্বনা নয়
১১ ডিসেম্বর ২০১২বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, স্পেনকে ২০১০ বিশ্বকাপ আর চেলসিকে ২০১২-র চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো ফার্নান্দো টরেস ছোটবেলায় কখনো পেলে, মারাদোনা বা অন্য কোনো সাবেক ফুটবলারের মতো হতে চাননি৷ এক কার্টুনের নায়কের মতো হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর৷ চেলসির হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে টরেস এখন জাপানে৷ সেখানেই জানিয়েছেন অবাক করা এই তথ্য৷ বলেছেন, ‘‘মনে আছে, আমি যখন ছোট্টটি ছিলাম, তখন স্কুলে গেলে শুনতাম সবাই ফুটবল নিয়ে জাপানের একটা কার্টুন দেখে এসে খুব আলোচনা করছে৷ টিভিতে সব চ্যানেল ভালোভাবে আসতোও না তখন৷ তবু কষ্ট করে আমিও দেখতে শুরু করলাম কার্টুনটা৷''
জাপানে কার্টুনটির নাম ক্যাপ্টেন সসুবা, স্পেনে সেটা দেখানো হতো ‘অলিভার অ্যান্ড বেনজি ইন স্পেন' নামে৷ সেখানে প্রধান চরিত্র দুটো, স্ট্রাইকার যে তার নাম অলিভার আর বেনজি ছিল গোলরক্ষক৷ দু'জনই জাতীয় দলে সুযোগ পায় কম বয়সে, বিশ্বকাপ জেতায় দেশকে, ক্লাব ফুটবলেও বার্সেলোনা আর বায়ার্ন মিউনিখে খেলে সাফল্যে সাফল্যে ভরে তোলে ক্যারিয়ার৷ বাস্তব জীবনে টরেস অবশ্য সাফল্য যেমন পেয়েছেন, তেমনি পেয়েছেন বড় কিছু ব্যর্থতার স্বাদও৷ ক'দিন আগেই তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্ব থেকে বিদায় নিলো চেলসি!
ইংলিশ ক্লাবটি এমন ব্যর্থতার কারণে গড়েছে লজ্জাজনক এক ইতিহাস৷ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পরের মৌসুমে প্রথম পর্ব থেকে বিদায় নেয়া প্রথম ক্লাব চেলসি৷ টরেসের জন্যও এটা খুব লজ্জার, হতাশার৷ স্প্যানিশ তারকা এ কথা বললেনও সরাসরি৷ বৃহস্পতিবার জাপানের ইয়োকোহামায় ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে চেলসি৷ প্রতিপক্ষ মেক্সিকোর মন্টেরে ক্লাব৷ সেমিফাইনাল পেরোলে ক্লাব ফুটবলের আরেকটি বড় সাফল্যের খুব কাছে পৌঁছে যাবেন টরেস৷ তাতে কি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্ব থেকে বিদায় নেয়ার হতাশা ভোলা যাবে? বিশ্ব ক্লাব কাপ কি ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আয়োজন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ব্যর্থতার কোনো ক্ষতিপূরণ হতে পারে? টরেসের জবাব, ‘‘কখনোই না''৷
আসলে চেলসির আর সব খেলোয়াড়ের মতো তিনিও চেয়েছিলেন বার্সেলোনা, রেয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাবকে পেছনে ফেলে আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে৷ সেই স্বপ্ন প্রথম পর্বেই ভেঙে চুরমার৷ এ হতাশা খুব সহজে কী ভোলা যায়!
এসিবি/ডিজি (এএফপি)