টাকা দিতেই হলো গ্রিন লাইনকে
১০ এপ্রিল ২০১৯হাইকোর্টের দুই বিচারক বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের উপস্থিতিতে রাসেলের হাতে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেয় গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ৷
এর আগে বুধবার সকালে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ পরিশোধে এক মাস সময় চাইলে আদালত তা নাকচ করে বিকেল ৩টার মধ্যে ‘কিছু' অংশ হলেও পরিশোধের নির্দেশ দেন৷
এরপর বিকেলে ‘মাত্র' ৫ লাখ টাকা দেয়ায় ‘উষ্মা' প্রকাশ করলেও ক্ষতিপূরণের বাকি ৪৫ লাখ টাকা আগামী এক মাসের মধ্যে রাসেলকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ এ আদেশের সময় পা হারানো রাসেল ও গ্রিন লাইন পরিবহনের মালিক হাজী মো. আলাউদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷
রাসেলের ক্ষতিগ্রস্ত ডান পায়ের চিকিৎসা সাভারের সিআরপিতে করানোর ও বাঁ পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কৃত্রিম পা লাগানোর আদেশও দেন আদালত৷
রাসেল সরকার এক সময় ছিলেন প্রাইভেট কারের চালক৷ গত বছর ২৮ এপ্রিল যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস তাঁকে চাপা দেয়৷ তাঁর জীবন রক্ষায় একটি পা কেটে ফেলতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা৷
ক্ষতিপূরণ চেয়ে সাবেক সাংসদ উম্মে কুলসুমের করা এক রিট আবেদনে রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট৷ পরে আপিল বিভাগেও ওই আদেশ বহাল থাকে৷
আদালতে গ্রিন লাইন মালিকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওয়াজি উল্লাহ, রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শামসুল হক রেজা৷
তবে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণ দিতে গড়িমসি করে৷
৪ এপ্রিল গ্রিন লাইনের মহাব্যবস্থাপক আবদুস সাত্তার আদালতকে জানান, প্রতিষ্ঠানের মালিক চিকিৎসার জন্য ভারতে গেছেন, ফিরবেন ৯ এপ্রিল৷
এরপর রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা পরিশোধে গ্রিন লাইলকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেয় হাই কোর্ট৷ এর পর আদালতে হলফনামা দাখিলেরও নির্দেশ দেয়া হয় পরিবহনটির কর্তৃপক্ষকে৷ এবার নির্দেশ না মানলে গ্রিন লাইনের সব বাস জব্দ করে নিলামে তুলে ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করে আদালত৷
এদিকে, এ মামলায় পক্ষভুক্ত হতে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি৷
এডিকে/জেডএইচ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)