টাকা ফেরত দিয়ে দুর্নীতির ‘দায়মুক্ত' হলেন জমির উদ্দিন সরকার
১০ জুলাই ২০২৩স্পিকার থাকাকালে তিনি নিজেই নিজের চিকিৎসার জন্য এই টাকা অনুমোদন করেছিলেন।
তার আইনজীবী ব্যাংকের পেমেন্ট স্লিপ জমা দিলে রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-সাত-এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর রেজাউল করিম রেজা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বরজমির উদ্দিনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছিল। এতে অন্য দুই অভিযুক্ত হলেন-সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী ও সংসদ সচিবালয়ের সাবেক প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আশরাফ-উল-ইসলাম।
জমির উদ্দিন সরকার বিদেশে চিকিৎসার নামে প্রায় ২৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। স্পিকার হিসাবে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি নিজেই এর অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।
২০১২ সালের ৭ নভেম্বর তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৩ সালের ৩০ মে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জহিরুল হক তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
ওই আদেশের পর জমির উদ্দিন সরকার মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে পৃথক পাঁচটি রিট আবেদন করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট এক রায়ে বলেন, বিচার কাজ চলবে।
পরে জমির উদ্দিন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে, হাইকোর্টের আদেশ বাতিল হয় এবং পাঁচটি মামলা বাতিল করে তাকে সরকারি অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-সাত ৯ জুলাইয়ের মধ্যে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা ফেরত দেওয়ার একটি নির্দেশ দেন চলতি বছরের ১২ মার্চ।
জেকে/এসিবি (দ্য ডেইলি স্টার)